সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া বলেছেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীদের মানবিক মূল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষার্থী হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। আজকের শিক্ষার্থী আগামী দিনের দেশের চালিকা শক্তি। বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা প্রসারের লক্ষে কাজ করছে। বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দেয়া একটি অনন্য উদাহরণ।
শনিবার (২১ জানুয়ারি) বিকেলে বিশ্বনাথ উপজেলার দেওকলস দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৫০ বছর পুর্তি উপলক্ষ্যে সুবর্ণ জয়ন্তী ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পূনর্মিলনী অনুষ্ঠান-২০২৩ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
তিনি আরো বলেন, প্রবাসিরা তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশে রেমিটেন্স পাঠিয়ে দেশের রাজস্ব ভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেন। পাশাপাশি শিক্ষা সহ সামাজিক কর্মকাণ্ডেও অবদান রেখে চলেছেন। আমরা সেই সকল প্রবাসিদের শ্রদ্ধাভরে স্যালুট জানাই।
বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি মো. আব্দুল গনির সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ইয়াহইয়া চৌধুরী, বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল কাশেম।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র ও শিক্ষক আব্দুল মুমিন মামুন ও দেওকলস ডেভলাপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকের সেক্রেটারী আজম খানের যৌথ সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল কামাল, প্রাইম ব্যাংক আম্বরখানা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ম্যানেজার তাজ উদ্দিন আহমদ, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী আফজাল খান, সেবুল খান মাহবুব, শামীম আহমদ প্রমুখ।
এর আগে সকাল ১০টায় সুবর্ণ জয়ন্তী ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পুনর্মিলনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক।
তিনি বলেন, ‘৫০ বছর পুর্তি ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পুনর্মিলনী একটি জীবনের ইতিহাস। এই বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা অর্জন করে হাজারো শিক্ষার্থী দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে আছেন। এই বিদ্যালয়ের ভাবমুর্তি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে যারা কাজ করছেন আমি তাদেরকে অভিনন্দন জানাই। এ অঞ্চলের শিক্ষা বিস্তারে দেওকলস ডেভলাপমেন্ট ট্রাস্ট ইউকে অর্থনৈতিক সহযোগীতা সহ সার্বিক ব্যবস্থাপনায় এই বিদ্যালয়টিকে ঠিকিয়ে রেখেছেন। সরকার কর্তৃক ১৯৯৮ সালে দেশের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করা দেওকলস দ্বি-পাক্ষিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ অবৈতনিকভাবে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে যাচ্ছে। এটি সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে।’
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, ৫০ বছর পুর্তি উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক শমসীদ খান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুধাংশু শেখর তালুকদার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি আমিনুল ইসলাম চৌধুরী লিটন ও কলেজ অধ্যক্ষ এম এ রহিম।
এর আগে মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। পরে স্কুলের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সমন্বয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।
অনুষ্ঠানের অতিথিবৃন্দ ও বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা এবং ভূমিদাতাদের মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। সুবর্ণ জয়ন্তী ও প্রাক্তন ছাত্রছাত্রী পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান ২০২৩ উপলক্ষে আব্দুল মুমিন মামুন সম্পাদিত সুবর্ণ জয়ন্তী স্মারক “উচ্ছ্বাস” এর মোড়ক উন্মোচন করেন সমাপনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঁইয়া সহ অতিথিবৃন্দ।
প্রাণের সাথে প্রাণ মিলিয়ে আমরা একটা দিন হারিয়ে যাবো সুদূর অতিতে এই স্লোগানে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান মালায় বিদ্যালয়ের দেশী-বিদেশী শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।