স্মরণকালের ভয়াবহ এই বন্যায় সুনামগঞ্জের দুর্গম এলাকায় গিয়ে বানভাসিদের খোঁজ নেওয়া জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন পুলিশের আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ।
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বানভাসি মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণকালে তিনি এই মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে প্রথমে তিনি উপজেলার বাদাঘাট পাবলিক উচ্চবিদ্যালয় ও আমবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান করা লোকজনের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন। পরে আইজিপি পার্শ্ববর্তী বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বন্যাদুর্গতের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেন।
এ সময় সাংবাদিকদের করা এক প্রশ্নের জবাবে আইজিপি বলেন, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে এটি একটি ভালো খবর। আর আমরা চেষ্টা করছি সুনামগঞ্জের রিমোট এলাকা যেগুলো আছে সেখানে যাওয়ার। যেখানে সহজে যাওয়া যায়, পৌঁছা যায় সেখানে তো সবাই যায়। কিন্তু যেসব জায়গায় সহজে যাওয়া যায় না, যেমন সীমান্তবর্তী জায়গাগুলো, সেখানে লোকজন কেমন আছেন তা দেখার দরকার। আমি আজ চেষ্টা করেছি আমার সহকর্মীদের নিয়ে সে সমস্ত জায়গায় ঘুরে বানভাসি মানুষের খোঁজ-খবর নিতে।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, পুলিশের সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি মো. মফিজ উদ্দিন আহমেদ, অতিরিক্ত ডিআইজি বিপ্লব বিজয় তালুকদার, সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (পদোন্নতিপ্রাপ্ত অতিরিক্ত ডিআইজি) মিজানুর রহমান, নৌ পুলিশের পুলিশ সুপার সম্পা ইয়াসমিন, সুনামগঞ্জ ইন-সার্ভিসের পুলিশ সুপার নিকুন চাকমা, বাদঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নিজাম উদ্দিন, বড়দল উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মাসুক মিয়া, বালিজুরী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আজাদ মিয়া, পরিবেশ ও হাওর উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কাসমির রেজা প্রমুখ।
