দুরন্ত অগ্রযাত্রায় পাঁচে পাঁচ মাশরাফির সিলেট

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) সিলেটের জয়রথ চলছেই। দুরন্ত অগ্রযাত্রায় টানা পাঁচ ম্যাচ জিতল মাশরাফির সিলেট স্ট্রাইকার্স। দলটি ঢাকা পর্বের প্রথম অংশেই জিতেছিল চারটি ম্যাচ। এবার চট্টগ্রামেও প্রথম ম্যাচেই জিতল মাশরাফি-মুশফিকদের অভিজ্ঞ সিলেট দল। তাতে আসরের প্রথম পাঁচ ম্যাচের সবগুলোই জিতে পরিষ্কার ব্যবধানে শীর্ষে সিলেট।

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে নাসির হোসেনের ঢাকা ডমিনেটরসকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

ঢাকার দেওয়া ১২৯ রানের লক্ষ্যে একেবারে সহজ জয় অবশ্য পায়নি সিলেট। সিলেটের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে খেলা গড়িয়েছে শেষ ওভার পর্যন্ত। আঁটসাঁট বোলিংয়ে সিলেটকে ভালোভাবেই চেপে ধরেছিলেন অধিনায়ক নাসির হোসেন ও তাসকিন আহমেদ। তবে শেষটায় থিসারা পেরেরার দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে সিলেট।

মিরপুরে দুদলের প্রথম খেলায় ঢাকাকে ৬২ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছিল সিলেট। চট্টগ্রামে তাই টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন ঢাকার অধিনায়ক নাসির হোসেন। তবে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের তৃতীয় বলে সৌম্য সরকার ডাক মারেন রুবেল হোসেনের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে। পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে দিলশান মুনাবিরা ও রবিন দাসকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সুযোগ তৈরি করেন ইমাদ ওয়াসিম।

দশম ওভারে ঢাকার দ্বিতীয় সেরা স্কোরার উসমান গনিকে ফেরান নাজমুল ইসলাম।৭৪ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকা ঢাকার সর্বোচ্চ ৫০ রানের জুটি গড়েন নাসির হোসেন ও আরিফুল হক। ইনিংস সেরা ৩৯ রান করে রান আউট হন নাসির। ২০ রান করেন আরিফুল। ৭ উইকেটে ১২৮ রান করে ঢাকা।

১২৯ রানের লক্ষ্যে মোহাম্মদ হ্যারিস ও নাজমুল হোসেন শান্তর ৫২ রানের জুটিতে দারুণ শুরু পায় সিলেট। কিন্তু নবম ওভারে নাসির জোড়া ধাক্কায় চাপে পড়ে সিলেট। পরের ওভারে জাকির হাসান ফেরেন আরাফাত সানির শিকার হয়ে। এরপর রান রেট বাড়তে থাকে। একপ্রান্ত আগলে রাখা মুশফিকুর রহিম বিদায় নিলে বড় ধাক্কা খায় সিলেট। শেষ তিন ওভারে ২৪ রান দরকার ছিল তাদের, সেটা শেষ দুই ওভারে কমে দাঁড়ায় ২০ রানে। ১৯তম ওভারে সালমান ইর্শাদের ওভারে ১৭ রান নিয়ে ৪ বল হাতে রেখেই লক্ষ্য টপকে যায় সিলেট।