ভয়াবহ ভূমিকম্পের প্রায় দুই সপ্তাহ পর বেশিরভাগ অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে তুরস্ক। দেশটির দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ ঘোষণা দিয়েছে।
তবে সংস্থাটির প্রধান ইউনুস সেজারের বরাত দিয়ে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদোলু জানিয়েছে, কাহরামানমারাশ ও হাতায় প্রদেশের ৪০টি ভবনে এখনো অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চলছে।
এদিকে ভূমিকম্পের পর লম্বা সময় কেটে গেলেও ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে এখনো জীবিত মানুষ উদ্ধার করা হচ্ছে। গত শনিবার, হাতায় প্রদেশে এক দম্পতি ও তাদের ১২ বছরের সন্তানকে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। যদিও পরে শিশুটি মারা যায়।
ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের দুর্যোগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের অধ্যাপক ইলান কেলম্যান সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে বলেছেন, ভূমিকম্পের পর অনেক দিন ধরে বেঁচে থাকার নজির থাকলেও, ‘এই ঘটনা অস্বাভাবিক’।
‘সাধারণত, আমাদের শরীর স্থিতিস্থাপক হতে পারে। কিন্তু অনেক কিছু ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে’- কেলম্যান যোগ করেন।
তিনি বলেছিলেন, ‘বেঁচে থাকার জন্য কিছু জিনিস দরকার হয়। মানুষ অক্সিজেন ছাড়া তিন মিনিট, পানি ছাড়া তিন দিন, খাবার ছাড়া তিন সপ্তাহ পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। ’
৬ ফেব্রুয়ারির ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত প্রদেশগুলোর মধ্যে হাতায় অন্যতম। প্রদেশটির মেয়র লুৎফু সাভাস রোববার বলেছেন, এখানকার অন্তত ৮০ শতাংশ ভবন ভেঙে ফেলে পুনর্নির্মাণ করতে হবে।
তিনি তুর্কি নিউজ চ্যানেল হ্যাবার্টর্কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘আমাদের জরুরিভাবে আরও তাঁবু দরকার। আরও এক মাস ঠান্ডা থাকবে। লোকেরা তাদের বাড়িতে থাকতে ভয় পায়। ’
ভূমিকম্পে তুরস্ক-সিরিয়ায় এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর শুধু তুরস্কে মারা গেছেন ৪০ হাজার ৬৮৯ জন।