গত দুই দিনের জাতিগত দাঙ্গায় সুদানের নীল নদ প্রদেশে নারী, শিশুসহ অন্তত ১৫০ জন নিহত হয়েছে। আল-জাজিরা জানায়, ১৯ ও ২০ অক্টোবর জমিসংক্রান্ত বিরোধে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
প্রদেশটির ওয়াদ আল-মাহি হাসপাতালের প্রধান বলেন, বুধ ও বৃহস্পতিবারের সংঘর্ষে মোট ১৫০ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে আছেন নারী, শিশু ও বৃদ্ধরাও। সহিংসতার ঘটনাটিতে আহত হয়েছেন ৮৬ জন।
হাউসা গোষ্ঠীর সঙ্গে বিরোধী গোষ্ঠীদের জমিসংক্রান্ত বিরোধ শুরু হয় গত সপ্তাহে। গত দুই দিনে তা তুমুল সংঘর্ষে রূপ নেয়। স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন, তীব্র গোলাগুলি ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় এলাকা ছাড়ছেন অনেকেই।
সুদানের রাজধানী খার্তুম থেকে প্রায় ৫০০ কিলোমিটার দক্ষিণে এ ঘটনা ঘটেছে।
সুদানে জাতিসংঘের সহায়তা কার্যক্রমের প্রধান এডি রোয়ে এ ঘটনায় তার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, “১৩ অক্টোবর থেকে অস্থিরতা শুরু হওয়ার পর থেকে ১৭০ জনের মতো মারা গেছেন বলে শুনেছি। আহত হয়েছেন তিন শতাধিক।”
জাতিসংঘের মানবিক কার্যক্রম সমন্বয় সংস্থা জানিয়েছে, জুলাই থেকে শুরু হওয়া জাতিগত দাঙ্গায় অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত মারা গেছেন ১৪৯ জন। গত সপ্তাহে নতুন করে শুর হওয়া দাঙ্গায় মারা গেছেন আরও ১৩ জন।
হাউসা জনগোষ্ঠীকে সুদানের সমাজে দীর্ঘদিন ধরে প্রান্তিক অবস্থানে রাখা হয়েছে। জুলাই মাসের সংঘর্ষের পর দেশজুড়ে হাউসাদের বিক্ষোভ শুরু হয়। সম্প্রতি এক বিবৃতিতে তারা ‘হাউসা জনগোষ্ঠীর ওপর গণহত্যা ও জাতিগত নিধন’ বন্ধের দাবি জানায়।
সুদানের নীল নদ প্রদেশে বহু জাতির বাস। কয়েক দশক ধরেই তাদের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি বিরাজ করছে। ঘৃণাত্মক বক্তব্য ও বর্ণবাদ প্রায়ই এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দেয়।