দুইদিনের বৃষ্টিপাতে জৈন্তাপুরের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

দুইদিনের বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৮ মে) উপজেলার নিম্নাঞ্চলের অন্তত ১৫ থেকে ২০টি গ্রাম পানিতে তলিয়ে যাওযার খবর পাওয়া গেছে।

এছাড়া বৃষ্টিপাতের কারণে উপজেলার নদ-নদীগুলোতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত বড় নদী সারী, বড়গাং, নয়াগাং ও রাংপানি নদীর বিপৎ সীমার কাছাকাছি রয়েছে বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে গত দুইদিনের টানা বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে উপজেলার বেশ কয়েকটি এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে বিপাকে পড়েছেন মানুষজন। বিশেষ করে গবাদি পশু নিয়ে উৎকণ্ঠায় পড়েছেন ভুক্তভোগীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার নিজপাট ইউনিয়নের গোয়াবাড়ী, বাইরাখেল, মযনাহাটি, বন্দরহাটি, মেঘলী, তিলকৈপাড়া, ডিবিরহাওর, ফুলবাড়ী, টিপরাখরা, খলারবন্দ, মাঝেরবিল, হর্নি, নয়াবাড়ী, কালিঞ্জিাদবাড়ী, জৈন্তাপুর ইউনিয়নের লামনীগ্রাম, মোয়াখাই, বিরাইমারা, মুক্তাপুর, বিরাইমারা হাওর, লক্ষীপুর, কেন্দ্রী, খারুবিল, নলজুরী, শেওলারটুক, বাওনহাওর, চারিকাটা ইউনিয়নের লাল, থুবাং, উত্তর বাউরভাগসহ বিভিন্ন গ্রাম পানিতে তলিয়ে গেছে।

ডিবিরহাওর গ্রামের বাসিন্দা হারুন মিয়া, মানিক মিয়া, মাসুক আহমদসহ অনেকেই বলেন, পাহাড়ি ঢলে এবং অতিবৃষ্টির কারনে এই বন্যার সৃষ্টি হয়েছে। যার কারনে উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এই বন্যার পানি বেশিক্ষণ স্থায়ী হবে না। বৃষ্টি থামলে পানি নেমে যাবে। তবে সৃষ্ট বন্যায় কৃষকদের কোন ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা নেই।

হনি, বাইরাখেল, মাঝের গ্রামের বাসিন্ধা গনি মিয়া, আব্দুস শুকুর, হোসেন আহমদ বলেন, অতিবৃষ্টির কারনে এবং উজান হতে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। যদি বৃষ্টি না থামে তাহলে বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিতে পারে। তবে বৃষ্টি থেমে গেলে ৪-৫ ঘন্টার মধ্যে পানি নেমে যাবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) উম্মে সালিক রুমাইয়া জানান, টানাবৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে ফ্লাস বন্যায় উপজেলার নিম্নাঞ্চল পানিতে তলিয়ে গেছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের খোঁজ খবর রাখা হচ্ছে। বন্যা মোকাবেলায় প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে। এছাড়া সকল নদী পথে যাতায়াতকারীদের সর্তকবস্থায় চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।