সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে খাস জমি দখলকে কেন্দ্র করে তুমুল সংঘর্ষ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার রফিনগর ইউনিয়নের বাংলাবাজার এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে হারুন মিয়া নামের একজন নিহত ও অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে।
নিহত হারুন মিয়া রফিনগর গ্রামের মৃত শাহ আলমের ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌছে। এর আগে রফিনগর গ্রামের লোকজন বাংলাবাজারে দোকানপাটে ব্যাপক লুটপাট চালায়।
স্থানীয়রা জানান, বাংলাবাজারের দক্ষিণ পাশের খাসজমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রফিনগর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান রেজুয়ান হোসেন খান ও মির্জাপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান জেলা আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। ঘটনার দিন এই খাসজমিতে দখল নিতে গিয়ে সংঘর্ষের সুত্রপাত হয়। দেশীয় অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, মির্জাপুর গ্রামের লোকজন নিয়ে জাহাঙ্গীর চৌধুরী বহুমুখী সমিতির নাম দিয়ে বর্ষার শুরুতে খাসজমিতে বাঁশ কাঠা ফেলে দখলের চেষ্টা করে। অপরপক্ষ রেজুয়ান হোসেন খান রফিনগর ও মাছিমপুর গ্রামের লোকজন নিয়ে চতুর্মূখী সমিতির নামে উক্ত জায়গায় ড্রেজার মেশিন বসিয়ে মাটি ভরাট করে দখলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। স্থানীয়রা জানান, সুনাম পর মৌজাশ কিত্তা গাও এবং সুনামপুর গ্রামের ভুমিহীনরা সরকারের জায়গা বন্দোবস্ত পেলেও তারা দখলে যেতে পারে নি। কিছুসংখ্যক ভুমিহীন দের কাছ থেকে রেজওয়ান খান ওই বিরোধীয় জায়গা ক্রয় করেন। রেজওয়ান হোসেন খান জানান,বাজার বর্ধিত করনে এলাকাবাসীকে নিয়ে জায়গা দিয়েছি। অপরদিকে জাহাঙ্গীর চৌধুরী বহুমুখী সমিতি নাম দিয়ে মির্জাপুর গ্রামবাসীকে নিয়ে ওই বিরোধীয় জায়গা দখলে নিতে কাটা বাঁশ ফেলে দখলে নিতে চাইলে সংঘর্ষ বাধে।
দিরাই ও শাল্লার দায়িত্বপ্রাপ্ত মেজর মহিউদ্দিন ফারুকী জানান, ঘটনাস্থলে আমাদের লোকজন রয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।
দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, খাস জমি নিয়ে রফিনগর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান রেজুয়ান হোসেন ও মির্জাপুর গ্রামের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর চৌধুরীর লোকজনের মধ্যে এ মারামারির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় এখনও কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।