সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে ও অন্তত ১০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
মারা যাওয়া ব্যক্তির নাম আজমল হোসেন। তিনি উপজেলার কুলঞ্জ গ্রামের আব্দুল হান্নানের ছেলে। সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া দুইপক্ষই আজমলকে নিজেদের পক্ষের লোক বলে দাবি করেছে।
দিরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম আজমল হোসেন বলেন, আজমল হোসেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আর তিনি আওয়ামী লীগের কর্মী কি না জানি না।
দিরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-সহকারী মেডিকেল অফিসার বেলায়েত হোসেনও বলেন, আজমল হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন।
এর আগে, সোমবার সকালে উপজেলার বিএডিসি মাঠে আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন মঞ্চে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন এবং জেলার সভাপতি-সম্পাদকসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
সম্মেলন শুরুর কিছুক্ষণ পরই বিতর্কে জড়ান দুইপক্ষের সমর্থকরা। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন তারা। এমনকি মঞ্চে উপস্থিত নেতাদের লক্ষ্য করেও ইটপাটকেল ছুঁড়তে শুরু করেন। এসময় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা প্লাস্টিকের চেয়ার মাথায় দিয়ে নিজেকে রক্ষার চেষ্টা করেন।