দিরাইয়ের ওসির বিরুদ্ধে ইসিতে অভিযোগ সুরঞ্জিতপত্নীর

এলাকায় যোগদান করেই নৌকার পক্ষে বিভিন্ন কৌশলে আতঙ্ক সৃষ্টি করছেন দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী। নির্বাচন কমিশনে এমন অভিযোগ করে ওসিকে প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ড. জয়া সেনগুপ্তা। তিনি কাঁচি মার্কায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

বৃহস্পতিবার দাখিল করা অভিযোগে বলা হয়, সম্প্রতি বদলি হয়ে দিরাই থানায় দায়িত্ব নিয়েই ওসি ইখতিয়ার নানা কৌশলে কাস্তে মার্কার ভোটার ও কর্মী-সমর্থকদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি ও হয়রানি করছেন, ভয়-ভীতি প্রদর্শন করছেন। ভোটারদেরকে নাশকতা ও পুলিশের পর আক্রমণকারী হিসেবে অভিযুক্ত করে পুলিশ অ্যাসল্ট মামলায় গ্রেফতার করার ভীতি প্রদর্শন করছেন।

কোনো কোনো ভোটার-কর্মীকে থানায় ডেকে নিয়ে তার অন্যতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের পক্ষে কৌশলে ভোট চাচ্ছেন। ওই প্রার্থীর দূর-সম্পর্কের আত্মীয় হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিচ্ছেন। কোনো কোনো ভোটার ভোটকেন্দ্রে না যেতে হুমকি দিচ্ছেন। এতে করে সুষ্ঠু ভোট না হওয়ার আশঙ্কা ছাড়াও ভোটার উপস্থিতি কম হওয়াসহ উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত না হওয়ার উপক্রম হচ্ছে।

অভিযোগের এক স্থানে বলা হয়, ওসির এমন আচরণে স্থানীয় সাংবাদিকও স্বাধীন সাংবাদিকতার অংশ হিসেবে নির্বাচনি রিপোর্টিং করা থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হচ্ছেন।

অভিযোগের বিষয়ে দিরাই থানার ওসি ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আনীত অভিযোগ ভিত্তিহীন। আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে থেকেই সব কিছু করা হচ্ছে। এর বাইরে কোনো প্রার্থীর পক্ষে বা বিপক্ষে কোনো আচরণ করা হচ্ছে না।

চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের পক্ষে ভোট চাওয়ার অভিযোগের বিষয়ে এই ওসি বলেন, কারও পক্ষ নিয়ে কাজ করছি না। নিয়মের মধ্যে থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্য কাজ করছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, ড. জয়া সেনগুপ্তা বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী। প্রয়াত এ জাতীয় নেতার মৃত্যুর পর সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই-শাল্লা) আসনে প্রতিনিধিত্ব করছেন।

তবে ড. জয়া সেনগুপ্তা এবার নৌকা প্রতীক পাননি। এখানে নৌকা প্রতীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদকে। তিনি পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ছোটভাই।