দিনে পাহারাদারের বিশ্রামঘর, রাতে চোলাই মদের কারখানা

দিনের বেলায় দেখলে মনে হয় মৎস্য বিলের পাহারাদারদের বিশ্রামঘর। কিন্তু রাতে সেই ঘরই হয়ে উঠে চোলাই মদ তৈরি ও পাইকারি বিক্রির কারখানা। সেই কারখানাতেই অভিযান চালিয়েছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর।

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জের সদর ইউনিয়নের কুশিয়ারা শাখা নদীর ধানগাঙ্গে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ১২০ লিটার চোলাই মদ সহ চোলাইমদ তৈরির দুই কারিগরকে আটক করা হয়। এছাড়া প্রায় হাজার লিটার চোলাই মদ তৈরির সরঞ্জামাদি বিনষ্ট করা হয়।

বৃহস্পতিবার (২৫ আগস্ট) ভোরে অভিযান চালিয়ে কুশিয়ারা নদীর শাখা নদী ধানগাঙ্গের পাড়ে একটি ঘর থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে অভিযানের খবর পেয়ে মাদক ব্যবসার মূলহোতা সটকে পড়ে।

আটককৃতরা হলো উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিরাট বাঁশ হাটিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র মহিবুর রহমান (৩৫) এবং একই গ্রামের মৃত আব্দুর রেজ্জাকের পুত্র মখলিছ মিয়া (৬০)।

জানা যায়, সদর ইউনিয়নের বিরাট বাঁশ হাটিয়া গ্রামের প্রভাবশালী এক মাদক ব্যবসায়ী ওই বিলে মাছ চাষের আড়ালে কুশিয়ারা শাখা নদীর ধানগাঙ্গের পাড়ে ঘর বানিয়ে চোলাই মদ উৎপাদন করে উপজেলার বদলপুর ইউনিয়ন সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বিক্রি করে আসছিলো। উক্ত ব্যবসায়ীর পূর্ববর্তী কোন ধরনের ক্রিমিনাল রেকর্ড না থাকা এবং পারিবারিক সুনামের কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন যাবত এই মাদক ব্যবসা চালিয়ে আসছিলো সে।

এরই প্রেক্ষিতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণের জেলা উপ পরিদর্শক মো. রফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে উপ পরিদর্শক মো. রবি উল্লাহ ও উপ পরিদর্শক হিরন্ময় শর্মা অভিযান চালিয়ে ১২০ লিটার চোলাইমদ সহ তাদের আটক করে। এ সময় প্রায় ১ হাজার লিটার চোলাই মদ তৈরির উপকরণ বিনষ্ট করা হয়।

এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম জানান- ‘আমাদের কাছে তথ্য ছিলো দীর্ঘদিন যাবত ওই এলাকায় মাদক তৈরি এবং বিক্রি করা হচ্ছে। আজকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা অভিযান চালিয়ে চোলাই মদসহ তাদের আটক করি এবং মাদক তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জামাদি ধ্বংস করা হয়।’

আজমিরীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুক আলী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান- এ বিষয়ে আজমিরীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।