থাই-রূপকথার ইতি টেনে ফাইনালে ভারত

ধারাবাহিক পারফরম্যান্স ও কিছুটা ‘ভাগ্যের ছোঁয়ায়’ প্রথমবারের মতো নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনাল খেলার সুযোগ পায় থাইল্যান্ড। লিখে যাচ্ছিল নতুন রূপকথা। তবে আজ (বৃহস্পতিবার) ভারতের বিপক্ষে শেষ চারের লড়াই হেরে ইতি ঘটলো থাই-রূপকথার। সেমিফাইনালে অবশ্য পাওয়ার কিছু ছিল না তাদের। তাই তো ভারতের বিপক্ষে ৭৪ রানে হেরেও খুশি মনে মাঠ ছেড়েছে থাই মেয়েরা। অন্যদিকে ফাইনালের আনন্দ করেছে ভারত।

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে ভারতের ১৪৮ রানের জবাবে খেলতে নেমে থাইল্যান্ড দারুণ ব্যাটিং করেছে। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ভারতের বোলিংয়ের বিপক্ষে ৩৭ রানে অলআউট হয়েছিল থাইল্যান্ড। তাই সেমিফাইনালের আগের দিন সংবাদমাধ্যমকে থাইল্যান্ডের অধিনায়ক নারুইমুল চাওয়াই জানিয়েছিলেন, প্রথম ম্যাচের অভিজ্ঞতা তারা সেমিফাইনালে কাজে লাগাবেন। চলমান এশিয়া কাপে রূপকথার গল্প রচনা করা থাইল্যান্ড সত্যিই উন্নতি করেছেন। গ্রুপ পর্বে ৩৭ রান কররেও সেমিফাইনালের মতো চাপের ম্যাচে তারা থেমেছে ৭৪ রানে।

থাই ব্যাটারদের মধ্যে অধিনায়ক নারুইমুল চাওয়াই ও নাটায়া বুচথাম দুজনই ২১ রানের ইনিংস খেলেছেন। আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পারেননি।

ভারতের বোলারদের মধ্যে দীপ্তি শর্মা ২৩ রানে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নিয়েছেন। এছাড়া রাজেশ্বরী গায়কোয়াড় ১০ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া ভারত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান সংগ্রহ করে। শেফালি ভার্মা সর্বোচ্চ ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। ২৮ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় বিস্ফোরক ব্যাটিং করেন এই ওপেনার। এছাড়া অধিনায়ক হারমানপ্রিত কৌর ৩০ বলে ৩৬ রানের ইনিংস খেলেছেন। জেমিমাহ রুদ্রিগেজ ২৬ বলে ২৭ রান করেন। পুরো টুর্নামেন্টে নিজের ছায়া হয়ে আছেন স্মৃতি মান্ধানা। সেমিফাইনালে ১৪ বলে ১৩ রানের ইনিংস খেলেন তিনি।

নারী এশিয়া কাপের অষ্টম আসরের সব আসরেই ফাইনাল খেলেছে ভারত। কেবলমাত্র ২০১৮ সালে ফাইনালে বাংলদেশের বিপক্ষে হেরেছিল তারা। বাকি সাত আসরের চ্যাম্পিয়ন ভারত আরও একবার ফাইনালে উঠে গেলো। অন্যদিকে তিনবার এশিয়া কাপ খেলা থাইল্যান্ডের সেরা সাফল্য এই আসরে। মালয়েশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও পাকিস্তানকে হারিয়ে দলটি প্রথমবারের মতো সেমিফাইনাল খেললো।