থাইল্যান্ডের একটি শিশু দিবাযত্নকেন্দ্রে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৮ জনে দাঁড়িয়েছে। দেশটির উত্তরপূর্বাঞ্চলের নং বুয়া লাম্পুতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে্, ‘বৃহস্পতিবার (৬ সেপটম্বর) বিকালে লাওসের সঙ্গে লাগোয়া থাই সীমান্ত এলাকায় ৩৪ বছর বয়সী পুলিশের এক সাবেক সদস্য স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র ব্যবহার করে এ হামলা চালায়। এতে ২৪ জন শিশু নিহত হয়েছে’।
রয়্যাল থাই পুলিশের উপ-প্রধান সুরচাতে হাকপার্ন জানান, ওই পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে নিজ বাড়িতে গিয়ে তার স্ত্রী, সন্তানকেও হত্যা করেন। সেই হামলায় আরও ১০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ৬ জনের অবস্থা গুরুতর। এরপর আত্মহত্যা করেন ওই হামলাকারী।
দেশটির পুলিশ বলছে, হামলার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে ধারণা করা হচ্ছে, হামলাকারী সাবেক পুলিশ সদস্য পানায়া কামরাব মাদকাসক্ত ছিলেন। এর আগে একই কারণে চাকরি থেকে বরখাস্ত হন ওই হামলাকারী। মাদকের মামলায় শুক্রবার তার আদালতে নির্ধারিত তারিখে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চ্যান-ওচা ‘ভয়াবহ’ হামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিকে, কর্তৃপক্ষ ওই এলাকার সব ডে কেয়ার সেন্টার বন্ধ করার নির্দেশনা দিয়েছে।
থাইল্যান্ডে গুলি চালিয়ে হামলার ঘটনা বিরল। গত মাসে ব্যাংককের একটি সামরিক স্থাপনায় এক সেনা তার দুই সহকর্মীকে গুলি করে হত্যা করে বলে অভিযোগ উঠে। এর আগে ২০২০ সালে থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বে নাখোন রাতচাসিমাতে গুলিতে ২৯ জন নিহত হন।