সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সারা দেশের ন্যায় জ্বালানী তেলের দাম অতিমাত্রায় বৃদ্ধির কারণে গ্রাহকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা গেছে। হঠাৎ তেলের দাম বাড়ার কারণে হতাশা প্রকাশ করছেন সাধারণ জনগণ।
শনিবার (০৬) সকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখো গেছে, মানুষ রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছেন বাসের অপেক্ষায়। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর একটি বাস এলেও সেটিতে ওঠার আশায় ছুটে যাচ্ছেন অনেকে। কিন্তু বাসগুলো আগে থেকে যাত্রীতে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে বাসগুলোতে কেউ উঠতে পারেন নি। এছাড়া তেলের দাম বেশি হওয়ায় নিয়মিত বাস চলাচল করেনি রোডগুলোতে।
এদিকে ডিজেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় রাস্তায় গণপরিবহন ছিল একেবারে কম। মানুষ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গণপরিবহন পাচ্ছে পায়নি। এ সুযোগে সিএনজিগুলো বেশি ভাড়া নিয়ে যাত্রি পরিবহন করছে বলে অভিযোগ করেন যাত্রীরা।
অপরদিকে ডিজেলের দাম প্রতিলিটারে ২৯ টাকা বাড়ানোর কারণে ডিজেলচালিত যানবাহন চালক ও সেচ কাজে ব্যবহৃত চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছেন। গ্রাহকরা সরকারের এ সিদ্ধান্ত ‘অমানবিক’ বলে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর-সিলেট রোডে এক বাস ড্রাইভার বলেন, ‘আমরা বাস চালিয়ে কি হবে। প্রত্যেক ট্রিপে লস আসতেছে। তেলের দাম বাড়লেও আমাদের ভাড়া তো বৃদ্ধি পায় না। আমাদের বাচ্চা-কাচ্চাদের জন্য কি নিয়ে যাব এ চিন্তায় আছি।’
তেল বিক্রেতা জানান, ‘আমরা গতরাত (শুক্রবার) ১১টা পর্যন্ত আগের দামে তেল বিক্রয় করি। রাত ১২টার সময় দাম বৃদ্ধির খবর পেয়ে সকাল থেকে ডিজেল ও কেরোসিন ১১৪ টাকা লিটার, অকটেন ১৩৫ টাকা এবং পেট্রোল ১৩০ টাকা লিটারে বিক্রয় করছি। এর বেশি দাম নিচ্ছি না।’