তৃতীয়বারের মতো নেপালের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে দশকব্যাপী লড়াই করা সাবেক মাওবাদী নেতা পুষ্প কমল দাহাল প্রচণ্ড।
হিমালয়কন্যা হিসেবে পরিচিত দেশটিতে গত মাসের নির্বাচনে ঝুলন্ত পার্লামেন্ট ফেরার পর প্রধান বিরোধী দল কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (ইউনিফায়েড মার্ক্সসিস্ট-লেনিনিস্ট) বা ইউএমএলের সঙ্গে জোট বেঁধে সরকারপ্রধান হন তিনি।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে জানানো হয়, ইউএমএল ও ছোট কয়েকটি সংগঠনের সমর্থনে নতুন সরকারের পাঁচ বছরের মধ্যে অর্ধেক সময় প্রধান হিসেবে থাকবেন প্রচণ্ড।
নেপালের প্রেসিডেন্ট বিদ্যা দেবী ভান্ডারির সহকারী টিকা ধাকাল বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত প্রচণ্ড পার্লামেন্টে বড় সমর্থন পেয়েছেন।
স্থানীয় সময় সোমবার শপথ নেয়ার কথা রয়েছে প্রচণ্ডের। চলতি সপ্তাহের পরবর্তী কোনো এক দিন পার্লামেন্টের ২৭৫ আসনের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি সভায় জোটের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে হবে তাকে।
নিম্নকক্ষে প্রচণ্ডকে সমর্থন দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে সাতটি দল। কমিউনিস্ট পার্টি অফ নেপাল (মাওয়িস্ট সেন্টার) বা মাওয়িস্ট সেন্টারের প্রধান প্রচণ্ড নেপালি কংগ্রেস সভাপতি শের বাহাদুর দেউবার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুযায়ী, তিনি ২০২৫ সালে জোটসঙ্গী ইউএমএলের কোনো নেতার কাছে পদ ছেড়ে দেবেন।
নতুন জোটের বৈঠক শেষে মাওয়িস্ট সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক দেব গুরুং রয়টার্সকে বলেন, ‘এটা (প্রচণ্ডকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ) এক ধরনের ঐকমত্য। গুরুত্বপূর্ণ অন্য পদ ও মন্ত্রণালয় ভাগাভাগির কাজ এখনও বাকি।’