আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্বাচনী ইশতেহারে সিলেটবাসীর আশা আকাংখার প্রতিফলন ঘটেছে। এই ইশতেহার বাস্তবায়ন হলে সিলেট হবে সত্যিকার অর্থেই একটি স্মার্ট ও তিলোত্তমা নগরী।
তিনি বলেন, গত ১০ বছরে পর্যাপ্ত সরকারি বরাদ্দ দেয়া হলেও সিলেটবাসীকে এখনো বৃষ্টির পানিতে হাবুডুবু খেতে হচ্ছে। ড্রেনেজ ও স্যানিটেশন সিস্টেমের কাংখিত উন্নয়ন হলে এই অবস্থা হতোনা। আওয়ামী লীগ উন্নয়নের সরকার। খুলনা ও বরিশালের মতো সিলেটবাসীও নৌকার জয় নিশ্চিত করে তিলোত্তমা নগরী গড়ার পক্ষে রায় দিবেন বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
তিনি আজ রোববার (১৮জুন) সিলেট মহানগরীর ১৬নং ওয়ার্ডের কিশোরী মোহন বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত নৌকার প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর সমর্থনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় নানক বলেন, আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর মতো একজন সৎ নির্ভিক ও যোগ্য মানুষকে প্রধানমন্ত্রী সিলেটবাসীর জন্য আশীর্বাদ হিসাবে পাঠিয়েছেন বলে আমি মনে করি।
প্রধানমন্ত্রীর স্নেহের এই প্রার্থীকে নির্বাচিত করে সিলেটবাসীর প্রতি উন্নয়নের পথে বহুদূর অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ জেবুন্নেছা হক বলেন,আপনাদের সেবা করতে প্রধানমন্ত্রী আমাদের আনোয়ারুজ্জামকে মনোনয়ন দিয়ে এখানে পাঠিয়েছেন। ইনশাল্লাহ নৌকায় ভোট দিলে আপনাদের কাংখিত উন্নয়ন হবে।
আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাচনী সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন, সামনে সুদিন আসছে। আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে নির্বাচিত করে সিলেটবাসী সেই সুদিনকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত। নৌকার জোয়ার উঠেছে চারদিকে। প্রচারনায় আমি বিভিন্ন জায়গায় গিয়েছি। বৃষ্টি উপেক্ষা করেও মানুষ যেভাবে নির্বাচনী সভাগুলোতে যোগ দিচ্ছেন, নৌকার প্রার্থীকে তাদের সমর্থন জানাচ্ছেন তা সত্যিই এক কথায় অত্যন্ত আশাব্যাঞ্জক। মানুষ উন্নয়ন চায়। আর আমরা সেই উন্নয়নের পথেই আছি।
আনোযারুজ্জামান চৌধুরী সিলেটকে তিলোত্তমা নগরী হিসাবে গড়ে তুলতে সবচে যোগ্য ব্যক্তি এবং প্রধানমন্ত্রীর পছন্দ।
আহমেদ হান্নান ও এমদাদ রহমানের যৌথ পরিচালনায় অনুষ্ঠিত এ নির্বাচনী সভায় আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আনোযারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমাকে আপনাদের সেবক হতে পাঠিয়েছেন। আপনাদের ভালোবাসায় আমি ধন্য। এখন ২১ জুন নৌকায় আপনাদের মহামূল্যবান ভোট দিয়ে আমাকে আপনাদের সেবার সুযোগ দিন। অবশ্যই আমার ঘোষিত ইশতেহার সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন হবে।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ও বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বিজিত চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মোবাশ্বীর আলী, জেলা আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক জগলু চৌধুরী, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন, লেখক ভট্টাচার্যসহ নেতৃবৃন্দ।