‘মুক্ত করো ভয়, আপনা মাঝে শক্তি ধরো নিজেরে করো জয়’- এ আহবানে রবীন্দ্রসংগীত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘আনন্দলোক’ আয়োজন করেছে ‘বর্ষবরণ উৎসব ১৪৩০’। এবারের আয়োজনে মধ্য নিয়ে ৩ যুগে পদার্পণ করলো আনন্দলোকের বর্ষবরণ উৎসব।
নগরীর কেওয়াপাড়াস্থ শ্রীহট্ট সংস্কৃত কলেজ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত এবারের উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট সংগীতশিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস।
শিল্পী হিমাংশু বিশ্বাস বলেন, ‘পহেলা বৈশাখ বাঙালির সংস্কৃতির সাথে ওতোপ্রতোভাবে জড়িয়ে আছে। আবহমান বাংলার চিরন্তন শ্বাশতরূপ পহেলা বৈশাখ। বর্ষবরণ উৎসব আমাদের প্রাণের উৎসব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ উৎসবে আমরা সংস্কৃতির মেলবন্ধনে আবদ্ধ হই।’
উৎসবে আমন্ত্রিত অতিথিদেরকে উত্তরীয় পরিয়ে বরণ করেন, আনন্দলোকের পরিচালক বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রানা কুমার সিনহা।
উৎসবে নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান, ভারতীয় সহকারী হাই কমিশনার নিরাজ কুমার জয়সওয়াল, কবি গবেষক এ শেরাম, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আল আজাদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সভাপতি রজত কান্তি গুপ্ত।
অনুষ্ঠানে সংগীত-নৃত্য পরিবেশন করে, বাংলাদেশ রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী সংস্থা, সিলেট শাখা, জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদ, সিলেট, নজরুল সংগীত শিল্পী পরিষদ, সিলেট বিভাগ, গীতবিতান বাংলাদেশ, সুরাঞ্জলি, চারুবাক ও নৃত্যশৈলী।
বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী নন্দিতা দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠান সমন্বয়ে ছিলেন আনন্দলোকের সমন্বয়ক রবিকিরণ সিংহ রাজেশ।