দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) থেকে পর্যটকদের ভ্রমণের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে সুন্দরবন।
বুধবার থেকেই দর্শনার্থীদের অভ্যর্থনায় প্রস্তুতি শুরু করেন বিভিন্ন ট্যুর অপারেটর। পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে এবার বিপুল পর্যটক সমাগম হবে বলে আশা ব্যবসায়ীদের।
সুন্দরবন খুলে দেয়ায় কর্মচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে ট্যুর গাইড অপারেটরদের মধ্যে। তবে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ায় কিছুটা বিচলিত ট্যুর অপারেটররা।
খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক (সিএফ) মিহির কুমার দে জানান, সুন্দরবন জল-স্থলভাগ শুধু জীববৈচিত্র্যেই নয়, মৎস্য সম্পদের আধার। সেই কারণে সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের (আইআরএমপি) সুপারিশ অনুযায়ী- ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত দুই মাস বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকে। এ বছর থেকে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে প্রথমবারের মতো এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সময় বৃদ্ধি করে বন মন্ত্রণালয়। এই তিন মাস সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।