এমসি কলেজে বেসরকারি কর্মচারীদের কর্মবিরতি

৩ দফা দাবিতে ১ ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করেছে সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন এমসি কলেজ শাখা। রবিবার ( ৮ অক্টোবর) সকাল দশটা থেকে কলেজের প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে এই কর্মসূচী পালন করেন।

দাবিগুলো হলো- সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীদের নিয়োগের তারিখ থেকে চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করা, চাকরি সরকারি করণের পূর্ব পর্যন্ত সরকারি স্কেল অনুযায়ী বেতন ভাতাদি প্রদান, বহুদিন যাবৎ অস্থায়ী কর্মরতদের ব্যতিরেকে নতুন নিয়োগ বন্ধ করা ও কর্মরতদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রদান করা।

সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারী ইউনিয়ন এমসি কলেজ শাখার সহ-সভাপতি মো. হুমায়ূন রশীদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সভাপতি প্রভাত মালাকার, সহ-সভাপতি মো. জাকির হোসেন, মো. পারভেজ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. রাজু আহমদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শরিফ আহমদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুছ প্রমুখ।

এসময় তারা বলেন, আমরা সবাই নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিয়োগ পেয়ে ৩য় ও ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে কর্মরত আছি। বর্তমানে এসব কর্মচারীদের মাসিক বেতন ৫-১০ হাজার টাকা। এই অল্প বেতনে আমরা পরিবার পরিজন নিয়ে দ্রব্যমূল্যের অতি উর্ধ্বগতির বাজারে খুবই কষ্টে মানবেতর জীবন-যাপন করছি। চাকরি রাজস্ব করণ করা হবে এমন আশ্বাস আমরা বারবার পেয়েছি। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর কর্তৃপক্ষ ২০১৩ ও ২০২০ সালে জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। কিন্তু বেসরকারি কর্মচারীদের কোনো অগ্রাধিকার দেওয়া হয়নি। সেই বিজ্ঞপ্তিতে সুপ্রিম কোর্টের একটি রিট মামলার নির্দেশনা মোতাবেক বেসরকারি কর্মচারীদের অগ্রাধিকার থাকলেও মাউশি কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে বিবেচনায় নেননি। সরকারি কলেজগুলোতে মাত্র শতকরা ৫ জন কর্মচারী সরকারিভাবে কর্মরত আছেন। আর বাকি ৯৫ শতাংশ কর্মচারি বেসরকারিভাবে কর্মরত আছে। আমরা চাকরি রাজস্বখাতে স্থানান্তর করার জোরালো আবেদন জানাচ্ছি। ৩ দফা দাবি নিয়ে আমরা আজকের ন্যায় ৯ ও ১০ অক্টোবর প্রতিদিন ১ ঘণ্টা করে শান্তিপূর্ণভাবে কলেজের মেইন ফটকে কর্মবিরতি পালন করবো।

বক্তারা আরও বলেন, এর আগেও এই দাবিতে জাতীয়করণের জন্য প্রেসক্লাবের সামনে ১৮ দিন পর্যন্ত সকল সরকারি কলেজের বেসরকারি কর্মচারীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছি। তবে বর্তমান সময়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির বাজারে আর ঘরে বসে থাকা সম্ভব হচ্ছে না। আমাদের এবারের দাবি মেনে নিতেই হবে। আমরা ১০-২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে নিজের সন্তানের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ভালোবেসে নিজের বুকে ধারণ করেছি।

কর্মবিরতিতে তারা আরও বলেন, বর্তমান পরিবেশ পরিস্থিতি বিবেচনায় খুব দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের অগ্রাধিকারের মাধ্যমে নিয়োগ দিয়ে সাধারণ কর্মচারীদের বেঁচে থাকার পথ বের করে দিতে হবে। আমাদের তিন দফা দাবি মানার জন্য জোরালো আবেদন জানাচ্ছি। এসব দাবি মেনে না নিলে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনশন, কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুশিয়ারি দেন তারা।