সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শিক্ষকের উপর নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রের হামলার ঘটনায় ন্যায় বিচার পাবে কি-না, এ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন আহত দুই শিক্ষক। ঘটনার চারদিন পরও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় তারা এমন শঙ্কার কথা জানান।
এদিকে শিক্ষকের উপর নিজ প্রতিষ্ঠানের ছাত্রের হামলার ঘটনায় মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা হয়েছে।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টায় উপজেলার লাকমা বাজার এলাকায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে স্থানীয় এলাকাবাসী ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
এ সময় এলাকাবাসীর পক্ষে ত্রিদিপ এষ দুলদুল বলেন, শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় আমরা ব্যতিত। এমন নিন্দনীয় ঘটনায় যে বা যারাই জড়িত তাদের বিরুদ্ধে দ্রæত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে বক্তারা আরো বলেন, বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর হামলায় দুই শিক্ষক আহত হওয়ার ঘটনার ৫দিন অতিবাহিত হল। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, হামলায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনো কোনরকম আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন- লাকমা গ্রামের মো. জাহের আলী, বড়ছড়া গ্রামের মো. সাহাজ উদ্দিন, নুরুজ্জামান সুরুজ প্রমুখ।
আহত শিক্ষক মখলিছুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি অত্র প্রতিষ্ঠানে ৯বছর ধরে বিনা বেতনে শিক্ষকতা করছি। ছাত্রকে শাসন করার কারণে আমিসহ এক শিক্ষকের উপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেইনি প্রশাসন। টাকা বা রাজনৈতিক শক্তি এর কোনোটাই আমার নেই। তাই ন্যায্য বিচার পাব কিনা এ নিয়ে আমি শঙ্কিত।
তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, ঘটনার তদন্ত হচ্ছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাত ৯টার দিকে টেকেরঘাট চুনাপাথর খনি মাধ্যমিক বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষক লাকমা বাজার থেকে টেকেরঘাট আসার পথে তাদের উপর অতর্কিত হামলা করে ওই প্রতিষ্টানের এক ছাত্রসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন। হামলায় আহতদের মধ্যে শিক্ষক মর্তুজা আলী উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।