সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে ঘাগড়া-লাউড়েরগড় নৌঘাটে খাস কালেকশনে রুলসহ স্থগিত আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট
মঙ্গলবার (২০ জুন) বিচারপতি কেএম কামরুল কাদের ও মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এবং আগামি ৭ দিনের মধ্যে দরপত্র (টেন্ডার) আবেদনকারীকে কেন ঘাটের দখল বুঝিয়ে দেওয়া হবেনা এ মর্মে রোল জারি করেছেন।
জানা গেছে, ঘাগড়া-লাউড়েরগড় নৌঘাটের ইজারার মেয়াদ শেষে পুনরায় দরপত্র আহবান করা হয়। এতে সর্বোচ্চ (১ কোটি ১৩ লাখ টাকা) দরদাতা হিসেবে মনোনীত হোন মনসুর আলম। এ কাজে তিনি ৪৫ লাখ টাকা পে অর্ডারও করেন। যা এখনও জমা রয়েছে। এ অবস্থায় মুনসুর আলমকে ঘাট না বুঝিয়ে সদর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের অধীনে খাস কালেকশন দেয় প্রশাসন। অভিযোগ রয়েছে খাস কালেকশনের জন্য উন্মুক্ত নিলাম পদ্ধতিও অনুসরণ করা হয়নি।
এদিকে খাস কালেকশনে এই ঘাট দিয়ে মালামাল বহনকারী প্রতিটি নৌকা থেকে নুন্যতম একশ টাকা ও সর্বোচ্চ সাতশ টাকা টোল আদায়ের কথা। কিন্তু এসব মালবাহী প্রতিটি নৌকা থেকে প্রশাসনের নাম ভাঙিয়ে পাঁচশ থেকে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত টোল আদায়ের মাধ্যমে লুটপাটের অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে এই নৌঘাট থেকে কোটি টাকার রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার।
মামলার বাদী মো. মনসুর আলম বলেন, ঘাগড়া হতে লাউড়েরগড় নৌঘাটের খাস কালেকশনে স্থগিত আদেশের পাশাপাশি ঘাটের দখল কেন বুঝিয়ে দেওয়া হবেনা এ মর্মে রোল জারি করেছেন মহামান্য হাইকোর্ট।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসাদুজ্জামান রনি বলেন, ঘাগড়া-লাউড়েরগড় নৌ ঘাটের খাস কালেকশন বন্ধে হাইকোর্টের রুলসহ স্থগিতাদেশের চিটি হাতে পায়নি। চিটি পেলেই হাইকোর্টের আদেশ কার্যকরে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম