সিলেট নগরীর তালতলা এলাকায় এক কিশোরকে ছুরিকাঘাতে আহত করেছে দুর্বৃত্তরা। ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় নগরীর তালতলাস্থ পার্ক ভিউ হসপিটালের পাশে একটি গলিতে এ ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত কিশোরের নাম তাহিদুল ইসলাম (১৩), সে নগরীর কুয়ার পাড় এলাকার তেজাব আলীর পুত্র।
জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় নামের তাহিদকে ১০-১২ জন যুবক মিলে পার্কভিউ হসপিটালের পাশের গলিতে নিয়ে যায়। এরপর তার পেটে এবং উরুতে ছুরিকাঘাত করে তার সাথে থাকা একটি সামসং মোবাইল ও নগদ বিশ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আহত তাহিদকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন স্বজনরা।
হামলাকারীরা যুবলীগ নেতা হাবিবুর রহমান হাবিব গ্রুপের সদস্য বলে জানা গেছে। হামলায় নেতৃত্ব দেন নগরীর খুলিয়াটুলার বাবুল মিয়ার ছেলে বাদল (২৫), তোপখানা কাজিরবাজার এলাকার রুহাত মিয়া (২০), রুম্মান (২২) ও কলাপাড়া এলাকার ওসামা বিন রাফি (২০)।
খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ফরিদ (২৩), হাবিব (২৪) ও শাকিল (২৩) নামের তিন জনকে আটক করেছে।
গুরত্ব আহত তাহিদুল ইসলামের পিতা তেজাব আলী বলেন, আমি সন্ধ্যার সময় বিকাশের মাধ্যমে টাকা পাঠিয়ে ছেলেকে বলেছিলাম তার মায়ের কাছে টাকা পৌঁছে দিতে। পরবর্তীতে আমার ছেলেকে বাদলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসীরা ধরে নিয়ে যায়। ছুরি দিয়ে একাধিক আঘাত করেছে আমার ছেলের শরীরে। সে ওসমানী হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে আছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্হল পরির্দশন করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ, লামাবাজার ফাঁড়ির ইনচার্জ রাশেদ ফজল, টুআইসি অন্জনসহ কোতোয়ালী থানা পুলিশের একটি দল।
এ ব্যাপারে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ কমিশনার (উত্তর) আজবাহার আলী শেখ বলেন, খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ইতিমধ্যেই অভিযান চালিয়ে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে। বাকিদের আটকে অভিযান চলছে।