যুক্তরাজ্য বিএনপির সভাপতি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য এম এ মালিক বলেছেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্টরা তাদের দোসরদের নিয়ে এদেশে সীমাহীন লুটপাট করেছে। তারা দেশের প্রতিটি খাতকে ধ্বংস করে আমাদের গভীর সংকটে ফেলে দিয়ে পালিয়ে গেছে। এখন এদেশকে পুনর্গঠন করতে আমাদের সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে। তিনি বলেন, বিএনপি এদেশের মানুষকে সাথে নিয়ে বিগত ১৭ বছর আন্দোলন করেছে। জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মী শহীদ হয়েছেন। আগামীর বাংলাদেশ সকল শহীদের আত্মত্যাগকে স্মরণ করবে। তিনি আরো বলেন, দেশনায়ক তারেক রহমান বৈষম্যহীন ও মানবিক বাংলাদেশ গড়তে নানা কর্মসূচি নিয়েছেন। দেশের সচেতন ও দেশপ্রেমিক মানুষের কাছে তারেক রহমানের এসকল কর্মসূচি আলোচিত ও সমাদৃত হচ্ছে। তারেক রহমানের হাত ধরে বাংলাদেশ সংস্কারের কার্যক্রম সফলতা পাবে।
ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি তিনি এসব কথা বলেন। সোমবার (২১ অক্টোবর) ফেঞ্চগঞ্জের নয়াবাজরের সুগন্ধা কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্টিত এ মতবিনিময় সভায় তিনি উপজেলা বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল, শ্রমিকদল, কৃষকদল, মহিলা দল ও জাসাস নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রেস্ট দিয়ে এম এ মালিককে সংবর্ধনা প্রদান করা হয়।
সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আব্দুল আহাদ খান জামাল। তিনি বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা বিএনপি সহ বিরোধীদলের ওপর একের পর এক মামলা, হামলা করে আজীবন ক্ষমতায় থাকতে চেয়েছিল। গণঅভ্যুন্থানের শেষ মুহূর্তেও গণহত্যা করতে চেয়েছিল খুনী হাসিনা। কিন্তু এদেশের মানুষের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের কাছে মাথা নত করে অপমানের সাথে পালিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। ইতিহাসের সকল স্বৈরাচারের এরকম অপমানজনক পরিণতি হয়েছে।
সভায় সভাপতিত্বে করেন ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক তসলিম আহমদ নেহাল। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক জাকারিয়া আহমদ ফয়সল প্রমুখ। সভায় সিলেট জেলা ও মহানগর এবং ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এম এর মালিক বাদ মাগরিব মোগলাবাজার ও বাদ এশা লালাবাজারে পৃথক পথসভায় বক্তব্য রাখেন।