বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির বলেছেন, আওয়ামী দুঃশাসনে সবচেয়ে বেশী ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তরুণ প্রজন্ম। অথ্চ তরুণরাই আগামীর সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। কিন্তু সরকার পরিকল্পিতভাবে তরুণ প্রজন্মকে ধ্বংস করছে।
তিনি বলেন, মেধা যোগ্যতা থাকা স্বত্তেও নগ্ন দলীয়করণ, ঘুষ-দুর্নীতির কারণে তারা চাকুরী থেকে বঞ্চিত। তারা তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। সবদিক থেকে বঞ্চিত তরুণদের অধিকার ফিরিয়ে দিতেই ৯ জুলাই আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের তারুণ্যের সমাবেশ সফল করতে হবে।
শুক্রবার (০৭ জুলাই) রাতে নগরীর সোবহানীঘাট যতরপুর সংলগ্ন আগ্রা কমিউনিটি সেন্টারে ১৪,১৫,২২,২৩ ও ২৪নং ওয়ার্ড বিএনপির যৌথ উদ্যোগে অনুষ্ঠিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথা বলেন।
২২নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি সৈয়দ মিসবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক শোয়াইবুর আহমদ সোয়েব ও সৈয়দ রহিম আলী রাসুর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন, জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, মহানগর সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী ও জেলা সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।
প্রধান বক্তার বক্তব্যে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু বলেন, তরুণ প্রজন্মকে আর অধিকার বঞ্চিত রাখা যাবে না। কারণ তরুণ প্রজন্ম জেগে উঠেছে। তারা তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে নেমে এসেছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হলে তরুণ প্রজন্ম তাদের অধিকার ফিরে পাবে। এজন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে বিদায় করতে হবে।
বিএনপি নেতা জমজম বাদশার পবিত্র কুরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে সুচীত সভায় বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ মঈনুদ্দিন সোহেল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি জাকির সিদ্দিকী, কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মাহফুজুর রহমান, কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক জাবেদ আহমদ স্বাধীন, মহানগর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সাফেক মাহবুব, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য হুমায়ুন আহমদ মাসুক, মুর্শেদ আহমদ মুকুল, যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক খাদিমুল ইসলাম খাদিম ও মকসুদ আহমদ, জেলা যুবদলের সভাপতি এডভোকেট মোমিনুল ইসলাম মোমিন, মহানগর যুবদলের সভাপতি শাহনেওয়াজ বক্ত চৌধুরী তারেক, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সাবেক সদস্য মতিউল বারী চৌধুরী খুর্শেদ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহিদ সুহেল, মহানগর বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. আশরাফ আলী, ওয়ার্ড সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্য থেকে বদরুদ্দোজা বদর, আব্দুর রহিম মল্লিক, রফিকুল ইসলাম রফিক, আব্দুস সবুর রাসেল, মিনহাজ পাঠান, মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম জীবন, মহানগর জাসাসের সদস্য সচিব রাসেল আহমদ রানা, ওয়ার্ড সাংগঠনিক সম্পাদকদের মধ্য থেকে মুহিবুর রহমান মুহিব, ফরহাদ আহমদ ও ইফতেখার আহমদ পাবেল প্রমুখ।