ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য আসামের রাজধানী গৌহাটিতে দুইদিনব্যাপী নদী সম্মেলন শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন চৌধুরী তামাবিল সীমান্ত হয়ে দেশে ফিরেছেন। রোববার (২৯ মে) বিকেল ৫টায় তামাবিল সীমান্ত দিয়ে তিনি বাংলাদেশে প্রবেশ করেন।
তামাবিল সীমান্তে মন্ত্রীকে বিদায় জানান ভারতের দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার এইচ ই মোহাম্মদ ইমরান ও গৌহাটিতে নিযুক্ত উপ-হাই কমিশনার ড. শাহ মো. তানভীর মনছুর। এ সময় মন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ছিলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পরিচালক (দক্ষিণ এশিয়া) এ টি এম রকিবুল হক, সহকারী পরিচালক মো. ইমদাদুল ইসলাম ও সুবর্ণা শামীম।
তামাবিল সীমান্তে এসে পৌঁছালে এ সময় তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন ও গোয়াইনঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমান। এছাড়া তামাবিল পাথর, চুনাপাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সহ-সভাপতি মো. জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন ছেদু ও স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের পক্ষে পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান লেবুসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ এবং ইমিগ্রেশন পুলিশের পক্ষে ইনচার্জ এসআই রুনু মিয়া ও এএস আই সানাউল হক রমজান পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে স্বাগত জানান।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সিলেট ৪৮ বিজিবির সিও লে. কর্ণেল সাইফুল ইসলাম, সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন) শাহরিয়ার বিন সালেহ, তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ-পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূইয়া, গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম নজরুল, জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ, খাদিমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আফসর উদ্দিন আহমদ, সিলেট মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুশফিক জায়গীরদারসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন তামাবিলের ঐতিহাসিক বধ্যভূমি (গণকবর) পরিদর্শন করেন এবং ইমিগ্রেশন দপ্তরের স্থায়ী ভবন ও বধ্যভূমি সংরক্ষণ ও সংস্কারের আশ্বাস দেন। তিনি তামাবিল স্থলবন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নসহ সার্বিক বিষয়ে ব্যবসায়ীদের সুযোগ-সুবিধার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন।
উল্লেখ্য, গত ২৭ মে আসামের গৌহাটিতে অনুষ্ঠিত নদী সম্মেলনে যোগ দিতে ভারত সফরে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।