সিলেটের তামাবিল স্থলবন্দরে স্থানীয় প্রশাসন ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ভারতের দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশি হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান মতবিনিময় করেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ মে) বিকেলে তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের কনফারেন্স রুমে স্থানীয় প্রশাসন, তামাবিল ব্যবসায়ী ও সূধিজনের সাথে তিনি এ মতবিনিময় সভা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হাই কমিশনার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিতে উভয় দেশ আন্তরিক। বিশেষ করে আসামের গুয়াহাটি মিশনসহ আমাদের সবক’টি মিশন আন্তরিক ভাবে চেষ্টা করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি এবং সম্পর্ক উন্নয়নে আমরা আন্তরিক ভাবে কাজ করছি। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদশ-ভারত সম্পর্ক অনেক এগিয়ে গেছে।
দুই দেশের স্থলবন্দরের ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সহজ করতে সরকারের নানা উদ্যােগের কথা জানিয়ে তিনি আরও বলেন, আসামের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, পযর্টন শিল্পের উন্নয়ন ও বিকাশে এবং সম্পর্ক উন্নয়নে ভারত মিশন নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আসামসহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মানুষের জন্য ভিসা সহজ করা হয়েছে। উভয় দেশের মানুষ এখন সহজে ভ্রমনে করতে পারছেন। ভ্রমণকে আরও সহজতর করতে সিলেট-ডাউকি-শিলং-হয়ে গুয়াহাটি পর্যন্ত বাস সার্ভিস পুনরায় চালু করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ-ভারতের ব্যবসা-বাণিজ্যের উন্নয়নে ব্যবসায়ীদের সবরকম সহযোগিতা করে হবে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাহমিলুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গুয়াহাটি’তে নিযুক্ত সহকারী হাই কমিশনার রুহল আমিন, দিল্লি হাই কমিশনের মিষ্টার কর্মাসিয়াল, ড. আতিকুর রহমান, দ্য সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সভাপতি ও এফবিসিসিআই’র পরিচালক তাহমিন আহমদ, বিজিবি’র উপ অধিনায়ক মেজর রিয়াদুল ইসলাম, তামাবিল স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের উপ পরিচালক মাহফুজুল ইসলাম ভূঁইয়া, কাস্টমস কমিশনার সাখায়াত হোসেন, সহকারি পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান, গোয়াইনঘাট সার্কেলের সহকারি পুলিশ সুপার প্রবাস কুমার সিংহ, গেয়াইনঘাট থানার ওসি কে. এম. নজরুল, তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি এম লিয়াকত আলী, সহ-সভাপতি মনিরুজ্জামান মিন্টু, মো. জালাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সরোয়ার হোসেন ছেদু, আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী জাকির হোসেন খান।
সিলেট ভয়েস/এএইচএম