সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে পরিচয়। পরে গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। সেই প্রেমের সুবাদে প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে নিয়ে যাওয়া হয় তরুণীকে। সেখানে তাকে দিয়ে করানো হয় দেহব্যবসা। কিছুদিন পর দেশে ফিরে বিয়ে করেন দুজন। পরে আবারও তরুণীকে কৌশলে ভারতে পাচার করে দেওয়া হয়। সেখানে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে কিছুদিন পর কৌশলে দেশে পালিয়ে এসে পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করেন তরুণী। মামলা দায়েরের পর পুলিশ লালমনিরহাট থেকে তিনজনকে এবং র্যাব হবিগঞ্জ থেকে প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
মঙ্গলবার (২৪ মে) সকালে মূলহোতা ও মামলার প্রধান আসামিকে মৌলভীবাজার থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা। গ্রেপ্তারকৃতের নাম সোহেল মিয়া (২৫)। তিনি হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার বেতাপুর গ্রামের কিবরিয়া মিয়ার ছেলে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের কাছে ব্রিফ করে র্যাব-৯। র্যাব-৯ হবিগঞ্জ ক্যাম্পের অধিনায়ক লে. নাহিদ হাসান জানান, সোহেল প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে তিন বছর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও টিকটকের মাধ্যমে তার সাথে পরিচয় হয় পাবনা জেলার সাথিয়া উপজেলার ডেমরা গ্রামের রুকশিপাড়া এলাকার এক তরুণীর (২২)। পরিচয়ের সুবাদে তাদের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রেমিক সোহেল ভালোবাসার দুর্বলতার সুযোগে গত বছরের মার্চ মাসে সাতক্ষীরা জেলার সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতের কলকাতায় নিয়ে যায় ওই তরুণীকে। এ সময় সেখানে তাকে আটকে রেখে দেহব্যবসা করতে বাধ্য করে সোহেল।
তিনি জানান, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে দেশে ফিরে সোহেল ওই তরুণীকে বিয়ে করে। পরে আবারও তরুণীকে কৌশলে ভারত পাচার করে দেয় সোহেল। সেখানে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়ে গত ১৫ মে কৌশলে দেশে পালিয়ে আসে তরুণী। পরে গত ২১ মে লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম থানায় পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে মামলা করে সে। মামলার প্রধান আসামি সোহেলকে মঙ্গলবার গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এর আগে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে পাটগ্রাম থানার পুলিশ।