তফসিল বাতিলের দাবিতে সিলেটে বাম গণতান্ত্রিক জোটের বিক্ষোভ

একতরফা নির্বাচনী তফসিল বাতিল, সরকার ও আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগ, নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন এবং সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে সিলেটস্হ আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় সিলেট ল’কলেজ সম্মুখ থেকে আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয় অভিমুখে বিক্ষোভ মিছিল বের হয় ও পরবর্তীতে কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

বাম গণতান্ত্রিক জোট সিলেট জেলা সমন্বয়ক, সিপিবি সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান এর সভাপতিত্বে ও বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা সদস্য সনজয় কান্ত দাশ এর সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা সিপিবি সভাপতি সৈয়দ ফরহাদ হোসেন, বাসদ (মার্কসবাদী) জেলা আহ্বায়ক উজ্জল রায়, বাসদ জেলা আহ্বায়ক আবু জাফর, সিপিবি সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আনোয়ার হোসেন সুমন, বিপ্লবী কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাঃ হরিধন দাশ, সিপিবি জেলা এডভোকেট নিরঞ্জন দাশ খোকন, বাসদ জেলা সদস্য মাছুমা খানম প্রমূখ।

বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ নির্বাচন কমিশনকে পুতুল নির্বাচন কমিশন হিসেবে আখ্যায়িত করে তাদের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার অভিযোগে জনগণ এদের ক্ষমা করবে না। নেতৃবৃন্দ সভা-সমাবেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকে সংবিধানবিরোধী ও জরুরি আইন জারির সামিল হিসেবে উল্লেখ করে এই অগণতান্ত্রিক সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি জানান।

নেতৃবৃন্দ বলেন, দেশ এক সংকটের মধ্যে আছে। তামাশার নির্বাচন সংগঠিত হলে এই সংকট আরও বাড়বে। বিদেশি আধিপত্য দেশকে নতুন সংকটে ফেলতে চাইবে। এর দায় সরকারকেই নিতে হবে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ৭ জানুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন হচ্ছে না, হচ্ছে আওয়ামী লীগ ও তার ভাগ বাটোয়ারার সহযোগিদের নির্বাচন। এখানে ‘ইলেকশন’ নয়, হবে ‘সিলেকশন’। এই বিনা ভোটের সংসদ সদস্যদের সম্পদের যেসব তথ্য জনগণ দেখল, তা লুটপাটের অতীতের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। তাই এই নির্বাচন নতুন লুটপাটের, ভাগবাটোয়ারার নতুন অধ্যায় সূচনা করবে।

নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নির্বাচনী তফসিল বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার দাবি জানান।