রাজধানীতে শনিবার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ কোথায় হবে এ বিষয়ে এখনও দলীয় সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।
বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) রাতে রাজধানীর কমলাপুর স্টেডিয়াম এবং মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
মির্জা আব্বাস বলেন, ১০ ডিসেম্বর গণসমাবেশের জন্য রাজধানীর দুটি মাঠ দেখেছি। স্থায়ী কমিটির সঙ্গে আলাপ করে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত জানানো হবে। বিএনপিকর্মীরা কোথাও নিরাপদ নন। সিদ্ধান্ত নিতে পারছি না। আমাদের প্রস্তুতি আছে, তবে মারামারি করার প্রস্তুতি নেই।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় গণসমাবেশের সম্ভাব্য স্থান পরিদর্শনে মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ মাঠে যান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এ সময় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) হাফিজ আক্তার, মিরপুর বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) জসীম উদ্দিন মোল্লাসহ ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। তারা মাঠের চারপাশ ঘুরে দেখেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় স্থান নির্ধারণের বিষয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপির প্রতিনিধি দল। বৈঠকে সমাবেশের জন্য নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সঙ্গে নতুন করে কমলাপুর স্টেডিয়াম মাঠের নাম প্রস্তাব করে বিএনপি।
তবে ডিএমপির পক্ষ থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সঙ্গে নতুন করে মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে।
এর আগে সমাবেশের স্থান চূড়ান্ত করতে মির্জা আব্বাসের শাহজাহানপুরের বাসায় বৈঠক করেন বিএনপি নেতারা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে শাহজাহানপুরে বিএনপির স্থায়ী মির্জা আব্বাসের বাসায় এ বৈঠক শুরু হয়।
এ বিষয়ে দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির প্রতিনিধি দল মির্জা আব্বাসের বাসায় বৈঠকে বসেছেন।
বাসায় মিটিং করছেন বলে রাত ১১টা ৪১ মিনিটে জানিয়েছেন মির্জা আব্বাস। তবে রাত ১২ টায় তার বাসায় এসে সেখানে দেখা যায় একদম সুনশান। গেটে কড়া নাড়তেই একজন কেয়ারটেকার দয়াল দাস গেট খুলে দেন। মিটিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিটিং তো বাসায় না। মিটিং বাইরে। স্যাররা সবাই ঘণ্টাখানেক আগে বের হয়ে গেছেন।
কোথায় গেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তা বলতে পারব না। সবাই একসঙ্গে বের হয়েছেন।’
এদিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে তাদের বাসা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ উঠে।
দলটির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বৃহস্পতিবার গভীর রাতে এ অভিযোগ করেন।