এপিএল (অ্যাডভোকেটস প্রিমিয়ার লিগ) সিজন-১ এর ক্রিকেট খেলা প্রথমবারের মতো মাঠে গড়ায় চলতি মাসে। লীগে অংশ নিতে সারাদেশের আইনজীবীদের টিমগুলোকে আহ্বান করেন আয়োজকরা। এর অনেক আগেই এসডিবিএ ক্রিকেট লাভার্স নাম দিয়ে ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু হয় সিলেটের আইনজীবী ক্রিকেট দলের।
কিছুটা পুরোনো এই দলের কয়েকজনকে সংগঠিত করে নতুন করে একটি দল গঠনের প্রক্রিয়া শুরু করেন অ্যাডভোকেট মো. আজমল হোসেন (গাজী আজমল), রব নেওয়াজ রানা, অহিদুর রহমান চৌধুরী, সলমান উদ্দিনসহ কয়েকজন। টিম গঠন, অর্থ সংস্থানের চ্যালেঞ্জকে সঙ্গী করে যথেষ্ট উৎসাহ নিয়ে শুরু হয় ব্যাট বলের অনুশীলন। কখনো মাঠে, কখনো বা ইনডোরে চলতে থাকে এই অনুশীলন।
ঢাকার ফার্মগেটস্থ ইন্দিরা রোডের মাঠে ২২ গজের পিছে সামর্থ্যের সবটুকু উজাড় করে চার-ছয়ের বিস্ফোরণ ঘটান টি-১০ বেটিং ফরমেটে থাকা সিলেটের বুলবুল, সাগর ও তানভীর। তারা তিনজনই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান।তাদের এই আত্মবিশ্বাসের সাথে সমানতালে যোগান দেন দেলোয়ার, কামরুল, মোস্তাকসহ আরও ৩/৪ জন বোলার এবং অন্যান্য খেলোয়াড়রা।
এদিকে, মাঠের খেলায় দর্শক সারি থেকে তাদের উৎসাহ দিতে সিলেট থেকে ঢাকায় ছুটে যান আরও কয়েকজন আইনজীবী। এতে ঢাকায় অবস্থানরত আরও বেশ কয়েকজন আইনজীবী যুগ দেন তাদের সঙ্গে। ফলে দেখা মিলে অভাবনীয় সাফল্যের।
গত ১৫ নভেম্বর প্রতিপক্ষ দল ঢাকা, সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জের তিনটি দলের বিরুদ্ধে টানা দুর্দান্ত জয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে আসে টিম সিলেট। এরই মধ্যে চলতি মাসের ২১ তারিখ খবর আসে সিলেটের হয়ে খেলায় অংশ নিয়ে নিজেদের সামর্থ্যের জানান দেয়া শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল ও মো. মহিদুর রহমান আসন্ন অ্যাডভোকেট এশিয়া কাপ ও অ্যাডভোকেট ওয়ার্ল্ড কাপ টুর্নামেন্টে প্রাথমিকভাবে তালিকাভুক্ত হওয়ার বিষয়টি। যারা টিমকে এই পর্যন্ত টেনে নিয়ে আসতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহযোগিতা করেছেন।
১৫ দিন বিরতির পর আগামী ৩০ নভেম্বর শনিবার ঢাকার ফার্মগেটস্থ ইন্দিরা রোডের এই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে যথাক্রমে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল ও ফাইনাল খেলা। এতে সাফল্যে ধরে রাখতে প্রতিনিয়ত ঘাম ঝরাচ্ছেন টিমের কোচ, ম্যানেজারসহ সকল খেলোয়াররা। এদিকে খেলোয়াড়দের উজ্জীবিত করতে অনুশীলনে যুক্ত হয়ে ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিংয়েড় গুরুত্বপূর্ণ কিছু কৌশল শিখিয়ে দেন একসময়ের তারকা ক্রিকেটার ও সিলেট জেলা বারের আইনজীবী সুমিত শ্যাম পাল।
দীর্ঘ বিশ্বাসের সঙ্গে দলীয় শক্তিতে উজ্জীবিত হয়ে খেলার পাশাপাশি কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি ফাইনাল এবং ফাইনাল খেলায় সব বাঁধা অতিক্রম করে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি হাতে করে ফেরার আশাবাদী টিম সিলেটের সদস্যরা।