শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ইউনূসের রিট আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। ফলে শ্রম আদালতে তার বিরুদ্ধে মামলা চলতে কোনো বাধা নেই।
অভিযোগ গঠনের বৈধতা প্রশ্নে হাইকোর্ট এর আগে যে রুল দিয়েছিলেন, বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দীনের বেঞ্চ মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) শুনানি শেষে তা খারিজ করে রায় ঘোষণা করেন।
আদালতে ড. ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আবদুল্লাহ আল মামুন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী বাপ্পী। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।
এই রায়ের বিরুদ্ধে ইউনূস আপিল বিভাগে যাবেন কিনা জানতে চাইলে তার আইনজীবী মামুন বলেন, যেতে তো হবেই। না গিয়ে উপায় কী?
শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে নির্দিষ্ট লভ্যাংশ জমা না দেওয়া, শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ী না করা, গণছুটি নগদায়ন না করায় শ্রম আইনের ৪-এর ৭, ৮, ১১৭ ও ২৩৪ ধারায় ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে মামলা করেন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান। ড. ইউনূস ছাড়াও এ মামলায় আসামী করা হয় গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহানকে।
গত ৬ জুন ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার শ্রম আদালতের বিচারক বেগম শেখ মেরিনা সুলতানা। অভিযোগ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে গত ২১ জুন হাইকোর্টে আবেদন করেন মুহাম্মদ ইউনূস। আবেদনে অভিযোগ গঠনের আদেশ বাতিল চাওয়া হয়।
প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ২৩ জুলাই রুল জারি করে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি আশিষ রঞ্জন দাশের হাইকোর্ট বেঞ্চ। এ মামলায় অভিযোগ গঠন কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয় রুলে।
এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ তখন রুল শুনানির জন্য বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান ও বিচারপতি শাহেদ নুরুদ্দীনের বেঞ্চ পাঠান।