আগামী ডিসেম্বরে আরও একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা জানালেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী এনামুর রহমান। ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির তথ্য জানাতে মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আশঙ্কার কথা জানান।
প্রতিমন্ত্রী জানান, গতকাল সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ফোন করে জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং ভালোভাবে মোকাবিলা করা গেছে। এজন্য ধন্যবাদও জানিয়েছেন। কিন্তু আগামী ডিসেম্বরে একই রকম আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আসার আশঙ্কা আছে। এজন্য একইভাবে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
পরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকেও আগামী ডিসেম্বরে আরেকটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা তাঁকে জানানো হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে দেশের ৪১৯টি ইউনিয়ন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব ইউনিয়নে আনুমানিক ১০ হাজার ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া ৬ হাজার হেক্টর ফসলি জমি নষ্ট হয়েছে এবং ১ হাজার মৎস্যঘের ভেসে গেছে। আর মারা গেছেন মোট ৯ জন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের কারণে ৬ হাজার ৯২৫টি আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ১০ লাখ মানুষকে নিরাপদে আনা হয়েছিল। তবে পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় গতকাল মধ্যরাতে আশ্রয় নেওয়া মানুষেরা বাড়িতে যাওয়া শুরু করে। আজ সকালের মধ্যে সব আশ্রয়কেন্দ্র খালি হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, মারা যাওয়া নয়জনের মধ্যে একজন বাদে সবাই মারা গেছেন ঘরের ওপর গাছের চাপায়। আর একজন ঘরের বাইরে গাছচাপায় মারা গেছেন। মৃত ব্যক্তিদের মরদেহ দাফন বা সৎকারের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২৫ হাজার টাকা প্রদান প্রক্রিয়াধীন। এর মধ্যে দুজনের পরিবারকে তা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ঘরবাড়ি মেরামতের জন্য টিন ও গৃহনির্মাণ বাবদ সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।
এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রকৃত ক্ষতির প্রতিবেদন পেতে ৭ থেকে ১৫ দিন পর্যন্ত সময় লাগবে।
কিন্তু আগামী ডিসেম্বরে একই রকম আরেকটি ঘূর্ণিঝড় আসার আশঙ্কা আছে। এ জন্য একইভাবে সাবধানতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।