ডাচদের উড়িয়ে দিয়ে এমবাপের নতুন শুরু

দলে সিনিয়র তারকা ফুটবলার থাকলেও ফ্রান্সের নেতৃত্বভার দেওয়া হয় কিলিয়ান এমবাপেকে। এতে আঁতোয়ান গ্রিজম্যানের সঙ্গে তার মনোমালিন্যের গুঞ্জনও ওঠে। তবে বিশ্বজয়ী কোচ দিদিয়ের দেশম ২৪ বছর বয়সী এমবাপের ওপর ভরসা রাখেন। অধিনায়ক হিসেবে অভিষেকের প্রথম ম্যাচে সেই ভরসার প্রতিদান দিয়েছেন এমবাপে। জোড়া স্কোরের পাশাপাশি তিনি গোল করিয়েছেনও।

অন্যদিকে নেদারল্যান্ডস ফুটবলে শুরু হয়েছে কোচ ডোনাল্ড কোম্যানের যুগ। তবে হোঁচট দিয়েই তার যাত্রা শুরু হয়েছে। ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে কোম্যানের শিষ্যদের ৪–০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে দেশম-বাহিনী।

এদিন ম্যাচের মাত্র ২ মিনিটেই এমবাপের অ্যাসিস্টে গোল করেন গ্রিজম্যান। এমবাপেকে অধিনায়ক বানানোয় অভিমানে গ্রিজম্যানের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টানার আলোচনা ওঠে। এ নিয়ে এমবাপে তার সঙ্গে কথা বললেও দুজনের দূরত্ব রয়েই গিয়েছিল। তবে ম্যাচে তার প্রভাব পড়তে দেননি কেউই। দু’জনের বেশ ভালো বোঝাপড়াই ফুটে ওঠে ম্যাচে।

১০ মিনিটে গোল ব্যবধান দ্বিগুণ করে ফরাসিরা। এবার স্কোরশিটে নাম তোলেন দায়ত উপমেকানো। তবে প্রথম গোলের পর এই গোলেও অবদান ছিল গ্রিজম্যানের। তার বাড়ানো ক্রস বাঁক খেয়ে ডাচ গোলরক্ষকের বুকে গিয়ে পড়ে। তবে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারায় বল উপামেকানোর পায়ে চলে যায়। পরবর্তীতে তিনি জাল খুঁজে নেন। ২১তম মিনিটে আরও এক গোল খেয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে নেদারল্যান্ডস। এই সময় প্রথম গোলের দেখা পান এমবাপে। চুয়ামেনির থ্রু বল ডামি করে মুয়ানির ছেড়ে দেওয়া বল এমবাপে সফলভাবেই জালে জড়ান।

দ্বিতীয়ার্ধও শুরু হয় ফ্রান্সের আক্রমণ দিয়ে। ৩ গোলে পিছিয়ে থেকে নেদারল্যান্ডসও ম্যাচে ফেরার চেষ্টা চালিয়ে যায়। ৫৮ মিনিটে মেম্ফিস ডিপাই গোলরক্ষক বরাবর ফ্রি–কিক নেন। এখান থেকে নেদারল্যান্ডস কর্ণার পেলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি। উল্টো ডাচদের নেওয়া সেই কর্নার থেকে বল কেড়ে নিয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় ফ্রান্স। ৭৭ মিনিটে গ্রিজম্যানকে তুলে নেন দিদিয়ের দেশম।

এর এক মিনিট পরই এমবাপে সহজ সহজ একটি সুযোগ মিস করেন। ফরাসি অধিনায়কের শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন ডাচ গোলরক্ষক। তবে বেশিক্ষণ আর তাঁকে আটকে রাখা যায়নি। ম্যাচের ৮৮ মিনিটে ফরাসি ফরোয়ার্ড দুর্দান্ত এক গোল করেন। এই গোলে তিনি ফ্রান্স জাতীয় দলের পঞ্চম সর্বোচ্চ গোলদাতা হয়ে যান, ছাড়িয়ে যান করিম বেনজেমাকে। ফ্রান্সের হয়ে তার গোল এখন ৩৮টি। ম্যাচের শেষ মুহুর্তে ব্যবধান কমানোর সুযোগ পেয়েছিল ডাচরা। যোগ করা সময়ে উপামেকানোর হাতে বল লাগলে ডাচদের পেনাল্টি দেন রেফারি। কিন্তু ডিপাই স্পট-কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন।

বাছাইয়ে দারুণ শুরুর পর আগামী সোমবার (২৭ মার্চ) ফ্রান্স পরের ম্যাচে আইসল্যান্ডের মুখোমুখি হবে। একইদিন নেদারল্যান্ডস নামবে জিব্রাল্টার বিপক্ষে।