রাজধানীর তেজগাঁওয়ে মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় চারজনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে দুজন বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মী, বাকি দুজন ভাসমান বলে জানিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আমরা তেজগাঁও এলাকায় ট্রেনে আগুন লাগার ঘটনায় বেশ কিছু ক্লু ও নাম পেয়েছি। দুই ক্যাটাগরিতে শনাক্ত করেছি। তদন্তের স্বার্থে নামগুলো প্রকাশ করছি না। আমরা সিসি ফুটেজ থেকেও তথ্য নিয়েছি। যাদের নাম ও ছবি পেয়েছি তাদের মধ্যে দুজন বিরোধীদলের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। আর দুজন ভাসমান ব্যক্তি। ট্রেনে আগুন লাগানোর কাজে রেলওয়ে এলাকায় থাকা ভাসমান মানুষকে ব্যবহার করা হয়েছে, আমরা সবদিক বিবেচনায় নজর রাখছি।
এদিকে হরতাল-অবরোধে ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে নাশকতাকে কেন্দ্র করে রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে বিশেষ নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব-৩।
র্যাব-৩ জানায়, ইতোমধ্যে ঢাকার তেজগাঁও এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, টাঙ্গাইলে কমিউটার ট্রেনে, মৌলভীবাজারে পারাবত ট্রেনে, ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুন জ্বালিয়ে দেশের জনসাধারণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত করে নাশকতা করার অপচেষ্টা চলছে। এসব নাশকতাকে কেন্দ্র করে জনগণের জানমাল রক্ষার্থে র্যাব-৩ কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় কঠোরভাবে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
দুষ্কৃতকারীরা কোনো অবস্থাতেই যেন কমলাপুর রেলস্টেশন এলাকায় অবস্থান করতে না পারে তার জন্য র্যাব-৩ সার্বক্ষণিক টহলের মাধ্যমে নিরাপত্তা দিচ্ছে।
এ ছাড়া যেকোনো ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড দমন ও আইনশৃঙ্খলার স্বাভাবিক পরিস্থিতি বজায় রাখতে র্যাব-৩ বদ্ধপরিকর।
সার্বিক নিরাপত্তা জোরদারের লক্ষ্যে র্যাব-৩ এর আওতাধীন এলাকায় একাধিক পেট্রোলের সমন্বয়ে রোবাস্ট পেট্রোল পরিচালিত হচ্ছে। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিশেষ নিরাপত্তা পেট্রোল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে সাদা পোশাকে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত আছে।