ট্রেড লাইসেন্স ফি কমানোর দাবিতে সিলেটে মানববন্ধন

তৃণমূল নারী উদ্যোক্তা সোসাইটি (গ্রাসরুটস) এর উদ্যোগে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ট্রেড লাইসেন্স ফি কমানোর দাবিতে সোমবার (১৩ জুন) বিকেল ৩টায় সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মানববন্ধন কর্মসূচিতে সমর্থন প্রদান করে সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন, সিলেট ও এস.এ.জি.ডি.এফ, সিলেট।

গ্রাসরুটস এর সিইও হিমাংশু মিত্রের সভাপতিত্বে ও সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের যুগ্ম-আহ্বায়ক সন্দীপন শুভর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, এটা ঠিক যে আমাদের মাথাপিছু আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, প্রান্তিক পর্যায়ের উন্নয়নের বাধাগুলো আমরা চিহিৃত করে সমাধানের পথে এগুচ্ছি কি না? অতিসম্প্রতি অনেকগুলি ইউনিয়ন পরিষদ সিটির অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। আমাদের সিলেটের প্রান্তিক উদ্যোক্তারা করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতির পর ছোট ছোট করে উদ্যোগে গ্রহণ করে বিসিক, জনতা ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৫০ হাজার টাকা প্রনোদনা ঋণ নিয়ে উদ্যোগ চালু করেছিল। ইতিমধ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের অকৃত্রিম চেষ্টায় ব্যাংক এই অঞ্চলগুলিতে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া শুরু করেছে। কিন্তু প্রাথমিক উদ্যোক্তার স্বত্ত্ব ট্রেড লাইসেন্স যা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাত্র ৩০০ টাকা নিতে পারত, এখন এই ইউনিয়নসমূহ সিটির অধীনে হওয়ায় ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা ট্রেড লাইসেন্স ফি দিতে হবে যা ১০ গুনেরও অধিক। স্বাভাবিকভাবে ঋণের সুদ এক সংখ্যার হলেও ট্রেড লাইসেন্স ফি, সিআইবি রিপোর্ট, সার্ভিস চার্জ সব মিলিয়ে ১৫-২০% দাঁড়ায়। এতে প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের উন্নয়ন স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত হতে বাধ্য।

তারা বলেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশনের প্রথম মেয়র মরহুম বদর উদ্দিন আহমদ কামরান নারী উদ্যোক্তাদের জন্য নিম্নতম ফি-তে বাড়ি এলাকা হলেও ট্রেড লাইসেন্স দেওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্তু আজ হোমবেসড ওয়ার্কার্সদের জন্য ১টি ট্রেড লাইসেন্স মানে সোনার হরিণ। আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা সুনামগঞ্জ পৌরসভা নতুন নারী উদ্যোক্তাদের প্রথম বছর বিনা ফি-তে ট্রেড লাইসেন্স দিতে পারলে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ফি এত বেশি কেন এটা চিন্তার বিষয়। আমাদের সিলেট সিটি কর্পোরেশনের বিশাল বিশাল বাজেট হয়, কিন্তু সেখানে প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য পরিকল্পনা বা নিজস্ব বাজেট দৃশ্যমান নয়।

মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন, গ্রাসরুটস সিলেট জেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাদিরা চৌধুরী রুমু, সদস্য রুমু চৌধুরী, বাংলাদেশ যুব মৈত্রী সিলেট জেলার সভাপতি আব্দুল্লাহ খোকনসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।