বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থীদের উপর অমানবিক আচরণ করায় দেশের বিভিন্ন থানা ও পুলিশ ফাঁড়িতে হামলা চালায় উত্তেজিত জনতা । জ্বালিয়ে দেওয়া হয় পুলিশের বিভিন্ন স্থাপনা । বিক্ষোব্ধ জনতার হামলায় অসংখ্য পুলিশ সদস্য হতাহত হন। দেশের এই পরিস্থিতিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দোষি করে নিজেদের নিরাপত্তার শঙ্কায় কর্মবিরতি পালন করছেন পুলিশ সদস্যরা। ফলে বন্ধ হয়ে গেছে থানাগুলোর কার্যক্রম । রাস্থায় নেই ট্রাফিক পুলিশের কোন সদস্যরাও। এই অবস্থায় সড়কে যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন সিলেটের শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, মঙ্গলবার (৬ অগাস্ট) সকাল থেকে নগরীর আম্বরখানা, বন্দর, জিন্দাবাজার ,চৌহট্টা, রিকাবিবাজার সহ গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে শিক্ষার্থীরা সড়কে অবস্থান করে ট্রাফিকের মতো শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করছেন। ফলে ভোগান্তি ও যানজট থেকে রক্ষা পাচ্ছে নগরবাসী।
সজীব হাসান নামে এমসি কলেজের গণিত বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র নগরীর আম্বরখানা পয়েন্টে দাড়িয়ে গাড়িগুলোর শৃঙ্খলার কাজ করছেন । তার সাথে কাজ করছেন আরও ৬-৭ জন শিক্ষার্থী । সজীব জানান, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে সড়কে যাতে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য আমরা কাজ করছি । ৩ টা শিফটে আমাদের কয়েকটা টিম সড়কের শৃঙ্খলার কাজে নিয়োজিত আছে।
সিলেটের ওসমানী মেডিকেলে নার্স হিসেবে দায়িত্ব পালন শেষে বাসায় ফিরছেন প্রিয়া দাস । তিনি বলেন, ছেলেমেয়েগুলো কোন ধরণের স্বার্থ ছাড়া রোদের মধ্যে যেভাবে কাজ করছে , এটা দেখে চোখে পানি চলে আসছে । দেশপ্রেম কাকে বলে এই বাচ্ছাগুলো তা আমাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে।