টিআইপি রিপোর্টে দ্বিতীয় স্তরে বাংলাদেশ

যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রকাশিত ট্রাফিকিং ইন পার্সন (টিআইপি) রিপোর্টে বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্তর (টিয়ার টু) বজায় রেখেছে। মানবপাচার বন্ধে সরকার উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে আগের অবস্থানে রয়ে গেছে বাংলাদেশ।

যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) রাতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ওই রিপোর্ট প্রকাশ করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের মোহাম্মেদ তারিকুল ইসলামকে টিআইপি হিরো হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়।

রিপোর্টে বলা হয় মানবপাচার প্রতিরোধে কোভিড সময়ে আগের বছরের তুলনায় সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ বেশি ছিল, সেজন্য বাংলাদেশ টিয়ার টুতে থাকবে। উল্লেখ্য, ২০১৭ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত বাংলাদেশ টিয়ার টু ওয়াচলিস্টে ছিল এবং ২০২০ সালে টিয়ার টুতে উন্নীত হয়।

সরকারের বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে মানবচাপারে অভিযুক্ত একজন সংসদ সদস্যের পদ থেকে অপসারণ করা,সাতটি মানবপাচার প্রতিরোধ ট্রাইবুনালের কাজ শুরু করা, এবং জোরপূর্বক শ্রম প্রতিরোধে আইএলও এর কনভেনশনে অনুস্বাক্ষর করা।

অন্যদিকে সরকার কয়েকটি ক্ষেত্রে ব্যর্থ হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে আগের বছরের তুলনায় কম পরিমাণ মানবপাচারকারীকে উদ্ধার, বিদেশ গমনকারীদের কাছ থেকে রিক্রটিং এজেন্সিগুলোর বেশি অর্থ আদায় করা এবং সরকারের এ বিষয়ে পদক্ষেপ না নেওয়াসহ অন্যান্য বিষয়।

রিক্রটিং এজেন্সিগুলো যেন অতিরিক্ত অর্থ আদায় করতে না পারে সেজন্য সরকারকে পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শসহ অন্যান্য সুপারিশ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।