টানা তৃতীয়বারের মতো বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (সিআইপি) মনোনীত হচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসি সিলেটের মারুফা আহমেদ।
২০২০ সালে বিদেশে বাংলাদেশী পণ্য আমদানীকারক অনিবাসী বাংলাদেশী ক্যাটাগরিতে তাকে সিআইপি নির্বাচন করছে প্রবাসি কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
২০২০ সালে দেশের বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় মারুফা আহমেদসহ ৬৭ জন প্রবাসি বাংলাদেশীকে সিআইপি স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে সরকার। এ সংক্রান্ত একটি তালিকা যাচাই-বাছাই শেষে মন্ত্রীপরিষদের অনুমোদনের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে প্রবাসি কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
এর আগে ২০১৮ ও ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার জন্য সিআইপি হিসেবে স্বীকৃতি পান মারুফা আহমদ। একই সময়ে মারুফার স্বামী ও প্রিমিয়াম ফিস এন্ড এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান কল্লোল আহমদও সিআইপি নির্বাচিত হয়েছিলেন।
সিলেট নগরীর হাউজিং এসস্টেটের বাসিন্দা কল্লোল-মারুফা দম্পতি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশী খাদ্যপণ্য নিয়ে কাজ করেন। ২০০২ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বাংলাদেশী বিভিন্ন খাদ্যপণ্য ও হিমায়িত মাছ রপ্তানি করে আসছেন এই দম্পতি। তাদের প্রতিষ্ঠিত শাহজালাল ব্র্যান্ড এখন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বহুল জনপ্রিয়। দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকলেও দেশের কথা ভুলে যান নি কল্লোল-মারুফা দম্পতি। তাই যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, মায়ানমারের মত সিলেটেও প্রতিষ্ঠা করেছেন শাহজালাল ব্র্যান্ডের কারখানা। যা প্রিমিয়াম ফুডস নামে ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে। নিজেদের কারখানায় হাজারো লোকের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি মতিন এন্ড রাজিয়া ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে দরিদ্র ছেলেমেয়ের শিক্ষাসহ নানা সামাজিক কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত এই দম্পতি।
দীর্ঘদিন বাংলাদেশের জাতীয় অর্থনীতিতে অবদানের মূল্যায়ন স্বরুপ গত দুবছর বাংলাদেশ সরকার তাঁদের সিআইপি মনোনীত করে।