কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলার মৃগা ইউনিয়নের বাসিন্দা শফিকুর রহমান (৫০)। ৪ নভেম্বর শুক্রবার বিকালে কানে আঘাত প্রাপ্ত পুত্রবধু খালেদা আক্তার (২৫) কে নিয়ে এসেছিলেন হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে। সেখানে কর্তব্যরত ব্রাদার রেজাউল ভর্তি ফরম দিতে দাবী করেন পাঁচশত টাকা। টাকা না দিলে মিলবে না ভর্তি ফরম তাই বাধ্য হয়েই দরকষাকষি করে দুইশত টাকায় ভর্তি ফরম নেন শফিকুর রহমান।
পরদিন শনিবার (০৫ নভেম্বর) দুপুরে ছাড়পত্র নিতে গেলেও একইভাবে টাকা দাবি করেন রেজাউল। কিন্তু তখন টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন তিনি।
শুধু শফিকুর রহমানই নয়, ভর্তি হতে টাকা দিতে হয় জরুরী বিভাগে সেবা নিতে আসা প্রায় সেবা গ্রহীতাকেই। যদিও টাকা নেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করছেন রেজাউল করিম।
জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে উপজেলার একটি পৌরসভাসহ পাঁচটি ইউনিয়নের সেবা গ্রহীতারা ছাড়াও নিকটবর্তী হওয়ায় কিশোরগঞ্জের ইটনা ও সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের বাসিন্দারা সেবা নিতে আসেন আজমিরীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কিছু অসাধু কর্মচারী দীর্ঘদিন যাবত এমন কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও দীর্ঘদিন চাকরির সুবাদে নিজেদের এমন দুর্নীতি, অনিয়মের রাজ্য গড়ে তুলেছেন তারা।
শফিকুর রহমান জানান, ভর্তি ফরম দিতে প্রথমে রেজাউল আমার কাছে পাঁচশত টাকা দাবী করেন। বাধ্য হয়ে আমি তাকে দুইশত টাকা দেই। পরদিন ছাড়পত্র আনতে গেলে আবার টাকা দাবি করেন উনি, কিন্তু আমি টাকা দেইনি।
এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সোহরাব হোসাইনের ব্যবহৃত মুটোফোনে একাধিক বার যোগাযোগ ও খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি কোন উত্তর দেননি।
আজমিরীগঞ্জ উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই, তবে যদি এমন অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।’