ঝিনাইদহের শৈলকুপায় প্রতিমা ভাঙচুরের পরিকল্পনাকারী হিসেবে দিনার বিশ্বাস নামে সাবেক এক ছাত্রলীগ নেতার নাম উঠে এসেছে। পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে এলাকায় অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করতেই তিনি কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের পরিকল্পনা করেছিলেন তিনি। ৬ অক্টোবর রাতে উপজেলার ডাউটিয়া গ্রামের পুরোনো কালীমন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের এই ঘটনা ঘটে।
রোববার (১৬ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এমনটি জানিয়েছেন ঝিনাইদহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আশিকুর রহমান।
দিনার বিশ্বাস উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও ধলহরাচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমানের ছেলে।
এসপি জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরপর জানা গেছে, প্রতিমা ভাঙচুরে পরিকল্পনা করেছিলেন দিনার। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
ঘটনার বর্ণনায় এসপি জানান, ৬ অক্টোবর দিনার ও জিনারুল নামের একজন গড়াই নদীতে নৌকায় জুয়া খেলছিলেন। খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ। জুয়া খেলার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশকে হয়রানি করার পরিকল্পনা করেন দিনার।
এসপি আরও জানান, ওই রাতে দিনার তার বাড়িতে আসাদুজ্জামান হিরো, তুষার হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেনকে ডেকে নেন। সেখানে পরিকল্পনা করে দিনারের নির্দেশ অনুযায়ী ডাউটিয়া গ্রামের শত বছরের পুরোনো কালীমন্দিরের প্রতিমা ভাঙচুর করে।
এ ঘটনায় পরদিন মন্দির কমিটির সভাপতি সুকুমার মণ্ডল শৈলকুপা থানায় মামলা করলে পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ইউনিট তদন্তে নামে। ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ১২ অক্টোবর আসাদুজ্জামান হিরোকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তিন দিনের রিমান্ডে পেয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর দিনার, তুষার ও সাজ্জাদের জড়িত থাকার তথ্য তার কাছ থেকে পায় পুলিশ। এরপর তুষার ও সাজ্জাদকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসপি আশিকুর বলেন, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারীদের কোনো ছাড় দেয়া হবে না। এর সঙ্গে যে-ই জড়িত থাকবে তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে।