মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ব্যতীত কোন পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে নেই। নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন সেনাবাহিনী। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) থেকে থানার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে আসছেন তারা।
জানা যায়, শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে কর্মস্থলে ফেরেন জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি) মোঃ মেহেদী হাসান। কিন্তু অন্যান্য সদস্যরা কর্মস্থলে ফেরেননি। এ অবস্থায় থানার সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।
গত ৫ আগস্ট কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র-জনতার তোপের মুখে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশছেড়ে পালিয়ে যান। সরকারের পতনে বিক্ষুব্ধ জনতা ওই দিন বিকেলে থানা ঘেরাও করে হামলা করে। স্থানীয় লোকজন ও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের যৌথ প্রচেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়। তারপর থেকেই আত্ন-গোপনে যান সেখানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যরা।
এদিকে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. ময়নুল ইসলামের নির্দেশনায় থানায় ফেরেন জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান। তবে অন্যান্য পুলিশ সদস্য থানায় আসেননি। এতে বৃহস্পতিবার হতে সেনাবাহিনীর একদল সদস্য থানার সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করছেন।
নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা সেনা কর্মকর্তা তাহের জানান, ‘মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনী থানার আগ্নেয়াস্ত্রগুলো হেফাজতে নেয়। বৃহস্পতিবার বিকেল চারটার মধ্যে পুলিশ সদস্যদের থানায় যোগদানের নির্দেশনা থাকলেও রাত পর্যন্ত তারা ফিরেনি। ফলে রাতেই অরক্ষিত থানার নিরাপত্তার দায়িত্ব নিয়েছে সেনাবাহিনী। পাশাপাশি অন্যান্য এলাকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেও সেনাবাহিনী টহল দিচ্ছে।’
জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মেহেদী হাসান জানান, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেয়ে শনিবার (১০ আগস্ট) দুপুরে কর্মস্থলে আসছি। তবে এখন পর্যন্ত অন্য কোন পুলিশ সদস্য কর্মস্থলে ফেরেননি।’