সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সিলেটের প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেছেন, ‘বিগত ফ্যাসিস আওয়ামী লীগ সরকার সিলেটসহ দেশের স্টেডিয়ামগুলোকে চারণভূমিতে পরিণত করেছিল। সেগুলোকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনার জন্য জোর চেষ্টার অংশ হিসেবে এবার জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশের তরুণ সমাজের হাতে বল ও ব্যাট না দিয়ে তাদের হাতে মাদক তুলে দিয়েছিল। দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও মাদকের অভয়ারণ্যে পরিণত করেছিল। যুবসমাজকে তারা ধব্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়েছিল। ১৭ বছরের জঞ্জাল সরিয়ে দিতে হবে।’
ছাত্র ও যুবসমাজকে খেলাধুলার দিকে ধাবিত করে সুন্দর খেলা উপহার দিয়ে মাদক মুক্ত সিলেট শহর গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।
সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আগামী ২৭ ডিসেম্বর বিকাল ৩টায় অনুষ্ঠিতব্য জিয়া ক্রিকেট টুর্নামেন্ট সফল করার লক্ষ্যে বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) নগরীর বিভিন্ন স্থানে টুর্নামেন্টের প্রচারপত্র বিলি কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে শহীদ এটিএম তুরাব চত্বরে (সাবেক কোর্ট পয়েন্ট) প্রধান অতিথির বক্তব্য উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘টুর্নামেন্টে জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা অংশ নিবেন। টুর্নামেন্টের মাধ্যমে যুবসমাজ তাদের মেধা ও মননকে কাজে লাগিয়ে ধব্বংস হয়ে যাওয়া ক্রিকেটের মূল স্রোতকে ফিরিয়ে আনবে। তারেক রহমান খেলাধুলার অগ্রাধিকার দেন। তিনি যুবসমাজকে খেলাধুলার দিকে ধাবিত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন। খেলার মাধ্যমে বিভেদ হওয়া জাতিকে এক করা সম্ভব। কোন দেশের কৃষ্টি ও কালচার খেলার মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়। আমরাও আয়োজিত এই ক্রিকেটের মাধ্যমে সিলেটের ঐতিহ্য দেশ ও বিদেশের মানুষের কাছে তুলে ধরতে চায়।’