হোমিওপ্যাথিতে আরও উচ্চতর গবেষণা ও পৃষ্ট পোষকতার প্রয়োজন উল্লেখ করে সিলেট প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক জালালাবাদ সম্পাদক মুকতাবিস-উন-নূর বলেছেন হোমিওপ্যাথির উন্নয়নে ছাত্র শিক্ষক সবাইকে আপডেট হতে হবে, গবেষণায় উদ্ভুদ্ধ হতে হবে। মেধা শানিত করার মাধ্যমে নিজেদের আত্মবিশ্বাস বাড়াতে হবে।
তিনি শনিবার সকালে সিলেটের একমাত্র হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ জালালাবাদ হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের ২০২৪-২৫ সেশনের প্রথম বর্ষের নবীন বরণে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন শিক্ষকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন ছাড়া কোনো শিক্ষার্থী উন্নতি করতে পারবে না৷ তাই যে শিক্ষকের কাছে একটি অক্ষরও কেউ শিখে থাকে তার সাথে বেয়াদবি করা যাবে না৷ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. আবদুল্লাহ আল মুজাহিদ খানের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র প্রভাষক ডা.শফিকুল ইসলামের সঞ্চালনায় নগরীর মির্জাজাঙ্গালে কলেজ মিলনায়তনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কলেজের উপাধ্যক্ষ (চ.দা.) ডা. নাজমুল হক। শুরুতে কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন হাফিজ কায়েদ আমিন, গীতা পাঠ করেন সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. বাবলী দেবী সিনহা।
এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কলেজ গভর্নিং সদস্য বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ডা. জাহেদুর রহমান চৌধুরী। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন কলেজ উন্নয়ন কমিটির সদস্য ডা. গিয়াস উদ্দিন, শিক্ষকদের মধ্য থেকে প্রভাষক ডা. মোবিন মহিউদ্দিন, প্রভাষক ডা. আমেনা আক্তার, প্রভাষক ডা. ফরহাদ আহমদ তুহিন, প্রভাষক ডা. সাজ্জাদুর রহমান এবং প্রভাষক ডা. টিকলি রায় কলি, কলেজের সিনিয়র মেডিকেল অফিসার ডা. মালা দে ও ডা. বাবলী দেবী সিনহা। প্রাক্তদের শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে ডা. এম. এম. ইকবাল হোসেন, ডা. জিয়াউর রহমান, ডা. মোবারক হোসেন এবং সংগঠকদের মধ্য থেকে ডা. মুঈন উদ্দিন। নবাগত শিক্ষার্থীদের মধ্যে থেকে অনুভূতি প্রকাশ করেন প্রথম বর্ষের জাহিদ ও আতিকুর রহমান। এসময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির অভিভাবক সদস্য ডা. তাপস কান্তি দে, কলেজের সিনিয়র প্রভাষক ডা. লবিবুর রহমান, প্রভাষক ডা. জাকিয়া সুলতানা। উপস্থিত ছিলেন ডা. শফি উদ্দিন, ডা. আব্দুস সাত্তার মুন্না, ডা. আসকির আলী, ডা. আবদুল্লাহ আল জাবেদ খান, তানজিম, মাহবুব, আবু সুফিয়ান প্রমুখ। এর আগে নবীন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেন অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা৷ অনুষ্ঠান শেষে সবাইকে আপ্যায়ন করানো হয় এবং আগামী শুক্রবার থেকে বিকাল ৩ টায় একই স্থানে প্রতি সপ্তাহে বিজ্ঞান সেমিনার আয়োজনের ঘোষণা দেওয়া হয়।