জামিন পেলেন না ঝুমন দাস

ফেসবুকে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ঝুমন দাস আপনের জামিন আবারও নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) সকালে দ্বিতীয়বারের মতো জেলা ও দায়রা জজ জাকিয়া পারভীন নামঞ্জুর করেন বলে জানিয়েছেন ঝুমন দাসের আইনজীবী পঙ্কজ কুমার।

পঙ্কজ কুমার জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলায় দুই দফায় তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়েছে। এর আগে ৪ সেপ্টেম্বর আদালত জামিন নামঞ্জুর করেন।

জানা যায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ধর্মীয় উসকানিমূলক পোস্ট দেওয়ার অভিযোগে গত ৩০ আগস্ট দুপুরে শাল্লা থানার পুলিশ তাকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। এ সময় জিজ্ঞাসাবাদে পোস্ট দেওয়ার বিষয় স্বীকার করলে রাতেই পুলিশ বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে ঝুমনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

ঝুমন দাসের স্ত্রী সুইটি রানী বলেন, আমরা এর আগেও আমল গ্রহণকারী আদালতে জামিন চাইলে নামঞ্জুর করেন। আজ জজ আদালতে জামিন চাইলে আদালত আজও ফের জামিন নামঞ্জুর করেন। এখন আমরা উচ্চ আদালতে যাবো।

এর আগে ২০২১ সালের ১৫ মার্চ সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে হেফাজতের ‘শানে রিসালাত’ সমাবেশে তৎকালীন আমির জুনায়েদ বাবুনগরী ও যুগ্ম মহাসচিব মামুনুল হক আসার পরের দিন ১৬ মার্চ মামুনুল হকের সমালোচনা করে ফেসবুকে’ স্ট্যাটাস দেন শাল্লার নোয়াগাঁওয়ের যুবক ঝুমন দাস।

এ ঘটনায়ে উত্তেজিত হয়ে হেফাজতে ইসলামের স্থানীয় সমর্থকরা ১৭ মার্চ জেলার শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামের হিন্দু বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।

উসকানিমূলক স্ট্যাটাসের দায়ে ঝুমনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় প্রায় সাত মাস কারাগারে থেকে জামিনে মুক্ত হন।