জামিন পেয়েই নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন কিনেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা এ কে একরামুজ্জামান। তবে মনোনয়ন সংগ্রহের পর তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২ টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তৃতীয় আদালতে (নাসিরনগর আমলি আদালত) পুলিশের করা একটি বিস্ফোরক মামলায় হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে তা মঞ্জুর করেন বিচারক। আদালতে একরামুজ্জামানের পক্ষে জামিন শুনানি করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আইনজীবী আলী আজম।
তিনি বলেন, ‘ঢাকার একটি মামলায় ২ নভেম্বর ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেছিলেন একরামুজ্জামান। ওই মামলাতেও সেদিন আদালত তাকে জামিন দেন। আজ ওই জামিনের কাগজপত্রসহ অন্যান্য প্রমাণপত্র ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আদালতে পেশ করেছি আমরা। সেগুলো বিবেচনা করে বিস্ফোরক আইনের মামলায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুল হাসান জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’
এরপর বিকাল ৩টার দিকে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক কার্যালয় থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের জন্য স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সৈয়দ এ কে একরামুজ্জামানের নামে মনোনয়নপত্র তোলা হয়। তার পক্ষে মো. বকুল মিয়া একজন মনোনয়নপত্রটি তুলেছেন।
স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার বিষয়ে একরামুজ্জামান গণমাধ্যমকে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তো যে কেউই মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে পারে। আমি আগে স্থির হতে চাই। এখনই কোনও কিছু খোলাসা করতে চাচ্ছি না।’
তবে একরামুজ্জামানের মনোনয়ন কেনার ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে।
এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা ও আইনজীবী কামরুজ্জামান মামুন বলেন, ‘একরামুজ্জামান স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করবেন। তিনি তার লোকজন দিয়ে নির্বাচনি এলাকা থেকে স্বাক্ষর নিয়েছেন। আঁতাত ছাড়া এই মামলায় তার জামিন পাওয়ার কোনও কথাই নয়। এটা তো এখন দৃশ্যমান।’
তবে, মনোনয়ন সংগ্রহ করার ঘটনায় দলীয় শৃংঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে একরামুজ্জামানকে।
মঙ্গলবার (২৮ নভম্বের) দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সৈয়দ একরামুজ্জামান ২০০১ সালের নির্বাচনে স্বতন্ত্র এবং ২০০৮ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আাসনে নির্বাচন করেন।