সিলেটের গোয়াইনঘাটের জাফলংয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা করার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ এক সন্তানের জননী।
পুলিশ ও ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, গত ২২ জুন রাতে ওই নারী কাজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে শাহজাহান ও ফরিদসহ ধৃতরা রসুলপুর গ্রাম থেকে তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। পরে পার্শ্ববর্তী হাজী সুনামিয়া জোনের নির্জন একটি স্থানে পাঁচজন মিলে ধর্ষণ করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। বাড়ি ফিরে ভুক্তভোগী তার মায়ের কাছে ঘটনা খুলে বলেন। পরবর্তীতে পরিবারের সদস্যরা সোমবার (২৪ জুন) রাতে থানায় উপস্থিত হয়ে পাঁচ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে গোয়াইনঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
এদিকে, এজাহার দাখিলের পরই গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ ওই নারীকে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। মঙ্গলবার (২৫ জুন) দুপুরে হাসপাতালের এক নারী চিকিৎসক ভুক্তভোগী নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করেন।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে সোমবার (২৪ জুন) দিবাগত রাতে ও মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে গোয়াইনঘাট থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে ওই মামলার এজাহারভুক্ত তিন জনকে আটক করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলার গাজিপুর গ্রামের মৃত মন্তাজ আলীর ছেলে আকরাম হোসেন, সিলেটের গোলাপগঞ্জ থানার রুইগড় গ্রামের মৃত আলা উদ্দিনের ছেলে জামাল হোসেন ও টাঙ্গাইল জেলার মধুপুর উপজেলার চাকন্দ্র বীরের বাড়ী গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মাসুদ রানা। তিনজনই দীর্ঘদিন থেকে জাফলংয়ের বিভিন্ন ভাড়াটিয়া বাসায় বসবাস করে আসছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারীর মা বলেন, ‘ওরা আমার মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন করেছে। আমি এদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’
এ ঘটনায় গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদি হাসান বলেন, ‘গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এরপর ওই নারীর ডাক্তারি পরীক্ষা করা হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন পাওয়া গেলে ধর্ষণের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।’