বিশ্বকাপে ইকুয়েডরের শুভ সূচনা, পারলো না স্বাগতিকরা

কাতার বিশ্বকাপে উদ্বোধনী ম্যাচে জয়ের মাধ্যমে শুভ সূচনা করেছে ইকুয়েডর। উদ্বোধনী ম্যাচে তারা ২-০ গোলে হারিয়েছে স্বাগতিক কাতারকে। ইকুয়েডরের হয়ে দুটি গোলই এসেছে তাদের অধিনায়ক এনার ভালেনসিয়ার কাছ থেকে।

উদ্বোধনী ম্যাচের আগে বেশ বিতর্ক তৈরি হয়। ইউরোপের বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যম দাবি করে হেরে যাওয়ার জন্য ইকুয়েডরের খেলোয়াড়দের মোটা অংকের অর্থ অফার করেছে কাতার। কিন্তু ম্যাচের শুরু থেকে তার ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না।

৮ বছর পর বিশ্বকাপ খেলতে নামা ইকুয়েডরের সামনে প্রথম ৪৫ মিনিট একেবারে দাঁড়াতে পারেনি প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে নামা কাতার।

ইকুয়েডর গোল পেতে পারত শুরুতেই। ম্যাচের মাত্র ৩ মিনিটের মাথায় স্নায়ুচাপে ভুগতে থাকা কাতারের গোলকিপার আল সাদ আল-শিবের ভুলে বক্সের মধ্যে মাথা ছুঁয়ে লক্ষ্যভেদ করেন ভালেনসিয়া। তবে অফসাইডের কারণে তার গোল বাতিল করে দেন রেফারি।

৩৩ বছর বয়সী ভালেনসিয়াকে বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের ৪র্থ গোল পেতে খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হয়নি। ১৬তম মিনিটে আবারও কাতার গোলকিপার আল-শিবের ভুলে পেনাল্টি পায় ইকুয়েডর।

এবারে স্পট থেকে আলতো কিকে প্রতিপক্ষ কিপারকে পরাস্ত করে আল বাইত স্টেডিয়ামে উপস্থিত দর্শকদের আনন্দে ভাসান ভালেনসিয়া। ১৭তম মিনিটে তার গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে যায় ইকুয়েডর।

ব্যবধান দ্বিগুণ করে তারা ৩১ তম মিনিটে। আনহেলো প্রেসিয়াদোর ক্রসে বক্সে আনমার্কড ভালেনসিয়া হেড করে দলের লিড বাড়িয়ে দেন। কাতার এ অর্ধের প্রায় পুরোটা সময় রক্ষণেই ব্যস্ত ছিল।

আরও পড়ুন : জমকালো উদ্বোধন, মাঠে গড়ালো ফুটবল বিশ্বকাপ

৩ বছরে বিশ্বকাপের জন্য ৫২টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলা কাতারের ফুটবলে ছিল না কৌশল কিংবা দলীয় পরিকল্পনার ছাপ। খুব সহজেই তারা হারিয়েছে পজেশন ও পজিশন।

বিরতির ঠিক আগে স্বাগতিকরা অবশ্য ম্যাচে ফেরার মোক্ষম সুযোগ পেয়েছিল। তবে ডান প্রান্ত থেকে আল হায়দোসের নিঁখুত ক্রসে ছয় গজের মধ্যে থাকা আলমোয়েজ আলি হেড করতে ব্যর্থ হন। ফলে ২-০ গোলে এগিয়ে থেকে প্রথমার্ধ শেষ করে ইকুয়েডর।

বিরতির পর ব্যবধান আর বাড়তে না দেয়ার দিকে সচেষ্ট হয় কাতার। স্বাগতিকেরা প্রথমার্ধের তুলনায় এ অর্ধে ছিল সতর্ক। আক্রমণ না চালালেও রক্ষণভাগ দৃঢ় রাখে তারা। ফলে ইকুয়েডর আর ব্যবধান বড় করতে পারেনি।

অন্যদিকে, আন্তর্জাতিক ফুটবলে টানা ১১ ঘণ্টা গোল হজম না করা ইকুয়েডরের জালেও বল প্রবেশ করাতে পারেনি কাতার।

জয় ও পূর্ণ ৩ পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে ইকুয়েডর। দক্ষিণ আমেরিকানদের জন্য চিন্তার বিষয় হলো ভালেনসিয়ার ইনজুরি। ম্যাচের ৭৫ মিনিটে পায়ে ব্যাথা পেয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাকে।