বিগত ১৭ বছর একটি তাবেদার সরকার বসিয়ে ভারত সরকার বাংলাদেশকে একটি করদ রাজ্যে পরিণত করার প্রয়াস চালিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ কখনো কারও দাসত্ব মেনে নেয়নি। জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশে যখন ভারতের করদরাজ্য ভেঙে পড়েছে তখন তাদের মাথা নষ্ট হয়েছে। এখন তারা আমাদের হাইকমিশনগুলোতে আক্রমণ করছে। বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে এই ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে বলে দাবি করেছেন সিলেট মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) আগরতলায় বাংলাদেশ দূতাবাসে ভারতীয় উগ্র হিন্দুত্ব বাদীদের হামলার প্রতিবাদে জাতীয়তবাদী চেতনার ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।এসময় তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলার মাধ্যমে ভারত প্রমাণ করেছে তারা বাংলাদেশের বন্ধু হতে পারেনা। তারা বাংলাদেশের দীর্ঘ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ঐতিহ্যকে ধ্বংস করার ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছে। বাংলাদেশের মানুষ তাদের এই ষড়যন্ত্র বাস্তবায়ন হতে দেবে না। অ্যাম্বেসিতে হামলা করে, পতাকায় আগুন দিয়ে ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা আমাদের হৃদয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। আমরা ভারতীয় সরকারকে বলতে চাই, অবিলম্বে যদি আপনারা এই উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীকে না থামান তাহলে আমাদের এই আগুন থামবে না।মিছিলটি শহীদ সাংবাদিক এটিএম তুরাব চত্তর (সাবেক কোট পয়েন্ট) থেকে শুরু হয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সমাবেশের মধ্যে দিয়ে শেষ হয়।
জাতীয়তবাদী চেতনার ব্যবসায়ী কমিটির আহবায়ক, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবীদ হুমায়ুন আহমেদ মাসুকের সভাপতিত্বে ও শুকরিয়া মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মেহেদী হাসান খানের পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সিলেট মহানগর বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও স্বেচ্ছাসেবক দল সিলেট মহানগরের আহবায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী (ভিপি মাহবুব) এবং সিলেট জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম আহমদ। আরো বক্তব্য রাখেন ব্যবসায়ী আব্দুল হাদি পাবেল, মোহাম্মদ সাবুল মিয়া, আহমেদ ফুয়াদ বিন রশিদ, রুপন খান, মোহাম্মদ তুরন মিয়া, আব্দুর রহিম, ফয়জুন নূর ফয়েজ, শিবলুর রহমান শিপু, এমজি সুহিন, মাসুক মিয়া, রফিক মিয়া, তুহিন মিয়া, সায়মন আহমেদ প্রমুখ।