জনগণ এই সরকারকে আর দেখতে চায়না : কাইয়ুম চৌধুরী

সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, `আওয়ামী লীগ সরকার রাতের আধারে ভোট ডাকাতির মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছে। যার কারণে দেশের প্রতি, দেশের জনগণের প্রতি তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। তারা এখন নিজেদের আখের ঘুচাতে ব্যস্ত। তাই এদেশের জনগণ এই নিশি রাতের সরকারকে জনগণ আর দেখতে চায় না।’

রোববার (৫ জুন) সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নে সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের সহযোগিতায় সিলেট জেলা বিএনপি উদ্যোগে আয়োজিত ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার যেভাবে গণতন্ত্র হরণ করেছে তেমনি দেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে দেউলিয়া করে দিয়েছে। তার থেকে পরিত্রাণের এক মাত্র পথ হলো দেশবাসীকে সাথে নিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের বিদায় করতে হবে। তার জন্য আগামীতে আন্দোলন সংগ্রামে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে শরিক হতে হবে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীমের সভাপতিত্বে বিয়ানীবাজার উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আক্তার হোসেন খান জাহেদের পরিচালনায় সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী।

সভায় বক্তব্য রাখেন- বিএনপির নেতা ইসতিয়াক সিদ্দিকি, আবুল কাশেম, আহমদ রেজা, মিজানুর রহমান রুমেল, জসিম উদ্দিন, সরোয়ার হোসেন, গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী শাহীন, হেলালুজ্জামান, রফিকুল ইসলাম শাহপরান, আহাদ চৌধুরী শামীম, মাহবুব আলম প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম বলেন, ‘বন্যার কারণে মানুষ পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে আর সরকারের নেতারা রাজকীয় নৌভ্রমণে ব্যস্ত। দেশের যেকোনো দুর্যোগে বিএনপিই জনগণের পাশে ছিল। দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধভাবে বিএনপি তথা বেগম খালেদা জিয়ার পতাকা তলে সমবেত হতে হবে।’

প্রধান বক্তার বক্তব্যে সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সরকারের জুলুম নির্যাতনে বেগম খালেদা জিয়া আজ রাজনৈতিক ভাবে গৃহবন্দি। তারেক রহমান আজ নির্বাসিত। এই সরকার তারেক রহমানের জনপ্রিয়তায় ভয় পায়। যে কারণে তাকে দেশে আসতে দিচ্ছেনা। ইনশাআল্লাহ তারেক রহমান দেশে ফিরবেন। সেদিন আওয়ামী লীগকে চশমা দিয়েও খোঁজে পাওয়া যাবেনা।’

সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ওহিদ আহমদ তালুকদার, নজরুল হোসেন, এ্যাডভোকেট আহমদ রেজা, দেলোয়ার হোসেন মুক্তা, আতাউর রহমান, মিজানুর রহমান রুমেল, জসিম উদ্দিন জুয়েল, নুরুল হুদা বাবুল, গিয়াস উদ্দিন, জামিল আহমদ, হেলালুজ্জামান হেলাল, জামিল আহমদ চৌধুরী, আব্দুল করিম তাজুল, সৈয়দ মুয়াজ্জম হোসেন, হারুনুর রশিদ, মুক্তাদির আলী, শামীম আহমদ, বাবর আহমদ চৌধুরী, জাহিদুল ইসলাম, আব্দুল ওয়াহিদ এনু, সরওয়ার হোসেন সুমন, সুয়েব উদ্দিন খান, মামুন আহমদ, আম্বিয়া চৌধুরী। যুবদল নেতা আবুল কালাম, জুবায়ের আহমদ। ছাত্রদল নেতা সাইদুর রহমান আলজির, এমরান আহমদ চৌধুরী, আয়ানুল আবেদীন, হাবিবুর রহমান, মাহবুবুল আলম, রাজেল আহমদ প্রমুখ।