গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে কয়েকজন যুদ্ধাপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হয়েছে। তবে গণজাগরণ মঞ্চের প্রয়োজনীয়তা এখনো ফুরিয়ে যায়নি। বরং অসাম্প্রদায়িক ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হবে।
সিলেটে গণজাগরণ মঞ্চের এক দশক উদযাপন অনুষ্ঠানের আলোচনা সভায় বক্তারা উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। দিবসটি উপলক্ষে রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমিতে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সাম্প্রদায়িকতার বিষয়ে সরকারের নতজানু নীতির সমালোচনা করে বক্তারা বলেন, দেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় পরিচালিত করতে হবে। অন্যথায় সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী বাংলাদেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করবে।
আলোচনা সভা শেষে একটি আলোর মিছিল নজরুল একাডেমি প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়ে সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদমিনারে গিয়ে শেষ হয়। পরে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলনকালে ও পরবর্তীতে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির হাতে নিহতদের স্মরণে শহিদমিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, তথ্যচিত্র নির্মাতা ও নাট্যকর্মী নিরঞ্জন দে জাদু, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের কেন্দ্রীয় সদস্য শামসুল আলম সেলিম, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের সাধারণ সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক রাজীব রাসেল, পরিবেশকর্মী আশরাফুল কবির, সাংবাদিক সজল ছত্রী, সৈয়দ রাসেল, বাসদ জেলা সদস্য সচিব প্রণব জ্যাতি পাল, যুব ইউনিয়নের প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিউর রহমান, শিক্ষক নিরঞ্জন সরকার, লেখক মাহবুব রাসেল, সামসুল আমিন, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সাবেক সভাপতি সহিদুজ্জামান পাপলু, সপ্তর্ষি দাস, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেট জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক মিজু আহমেদ, কোষাধ্যক্ষ সন্দীপ দাস, সংস্কৃতিকর্মী অ্যাডভোকেট দেবব্রত চৌধুরী লিটন, আবিদ ফয়সাল, সুপ্রিয় দেব পুরকায়স্থ শান্ত, অরূপ বাউল, উজ্জ্বল চক্রবর্তী, সামান্থা মৌ, রুবেল আহমদ কুয়াশা, উত্তম কাব্য, অপু মজুমদার, অভ্রভেদী সন্দ্বীপ প্রমুখ।