সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষকদের সংগঠন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতি জগন্নাথপুর শাখা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। চলমান কমিটি রেখে নতুন পাল্টা কমিটি গঠন করায় উপজেলার সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাল্টা পাল্টি কমিটির পক্ষে বিপক্ষে নানা মন্তব্য চলছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৯ সালে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির রেজিস্টার নং এস- ১২০৬৮ এর অধীনে জগন্নাথপুর উপজেলার শাখার ত্রি-বার্ষিক নির্বাচনে ভোটে মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন শিক্ষক শাহাজান সিরাজ ও নৃপেশ দাস। তাদের নেতৃত্বে জেলা কমিটির অনুমোদন নিয়ে ৬১ সদস্যের কমিটির বর্তমান কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অন্যদিকে গত রোববার একই নাম ও রেজিস্টার নম্বর ব্যবহার করে সভাপতি নুরুল হক, সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন সহ চার জনের নাম উল্লেখ করে নতুন একটি কমিটি গঠন করা হয়। ফলে উপজেলার সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতি জগন্নাথপুর শাখার সভাপতি শাহজাহান সিরাজ বলেন, গত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত শিক্ষক নুরুল হক কয়েকজন শিক্ষক নিয়ে মনগড়া সমিতির নাম ও রেজিস্টেশন নম্বর ব্যাবহার করে চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেন। যা সংগঠনের নিয়ম-নীতি গঠনতন্ত্র বহির্ভূত। তিনি এ ধরনের ভিত্তিহীন নতুন কোন কমিটির সংবাদে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান।
নতুন ঘোষিত পাল্টা কমিটির সভাপতি নুরুল হক বলেন, কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় শিক্ষকদের মতামতে নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতি সুনামগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি হারুন রশিদ বলেন,জগন্নাথপুরে সহকারী শিক্ষকদের বিভক্তি দুঃখজনক। সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে কথা বলে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা করব।
কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ সভাপতি সিলেট বিভাগের দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত নুরুল ইসলাম বলেন জগন্নাথপুরে সহকারী শিক্ষকদের বিভক্তি দুঃখজনক আমাদের রেজিনং ব্যবহার করে কমিটি গঠন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বর্তমান কমিটি বহাল রয়েছে।